সোনালি খুব ভদ্র কিন্ত খুব চটপটে,কখনো ওভাবে গান শেখা হয়নি তারপর ও তার মধুর কন্ঠে কারো পাগল হতে এক মিনিট সময় ও লাগে না।ক্লাসম্যাট,ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইরা যে তার প্রেমে হাবুডুবু খায় সেটা সোনালি খুব ভালো করে বুঝতে পারে।এই মজাটা নিতে ওর খুব ভালো লাগে। সোনালি খুব চালাক,সবাই ওর জন্য এত দেওয়ানা ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ হতে যাচ্ছে অথচ আজো কউকে মন দিতে পারল না।
লেখাপড়া শেষ করে সোনালি নতুন চাকরীতে ডুকেছে তিন চার মাস হবে।সবকিছু মিলে একটা নিয়মের মধ্যে চলছে আর ও নিয়মের মধ্যে থাকতে ভালবাসে। আজ সোনালি সকাল থেকে কেন এত অস্থির ,কিছু ভালো লাগছে না বার বার সোহাগের কথা মনে হচ্ছে। সোহাগ আর সোনালি একই অফিসে চাকরী করে। সোহাগ দেখতে সুন্দর না। উচ্চতাও তেমন না। মোট কথা সোনালির যা চাওয়া ছিল তার কিছুই নেই সোহাগের মধ্যে। কিন্তু তারপরও আজ সোনালি সোহাগকে নিয়ে ভাবছে।সোহাগ যে ওকে পাগলের মত ভালবাসে সেটা সোনালির বুঝতে বাকি নেই। সোনালি যতক্ষণ ল্যান্স করে না সোহাগ ও ততক্ষণ কোন না কোন অজুহাতে বসে থাকে। অফিস ছুটির পর বাহিরে অপেক্ষা করে সোনালি বের হলে এক পা দুপা হাটবে তারপর যে যার গান্তব্যে পৌছাবে। আজ সোহাগ অফিসে আসেনি। কেন আসেনি এ ভেবে সোনালি খুব অস্থির। কেন আজ ওর এত খারাপ লাগছে। সোনালি খুব ভাবচ্ছে তবে কি আমি সোহাগকে ভালবেসে ফেললাম।আমি তো এর আগেও রিপনকে ভালোবেসেছিলাম কিন্ত সেটা ছিল এক পক্ষ থেকে কারণ রিপন ছিল খুব মেধাবী,ও লেখাপড়া ছাড়া কিছুই বুঝতো না আর গোরীবের সন্তান ছিল বলে নিজেকে সবসময় আড়াল করে রাখতো।ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠল,মোবাইলটা ধরতে একটুও সময় নিল না সোনালি।ওপাশ থেকে সোহাগ কোন কিছু বলার আগেই সোনালি বল্লতেই থাকল তুমি ঠিক আছ তো তোমার কিছু হয়নি তো --------।সোহাগ বল্লো আমি ঠিক আছি শুধু তোমার কন্ঠটা শোনার জন্য ফোনটা করেছি।আজ সোনালি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করল আর ভাবল, তুমি তাকে ভালোবাসো যে তোমাকে ভালোবাসে তাকে নয়,যাকে তুমি ভালবাস।
nice
Thanks
small but lovely. waiting for more
Thanks