দোস্ত চুরি করবি??
রাত ১টা মতো বাজে।
আর রাজশাহীতে রাত ১টা মানে
গভীর রাত। ১০-১২ জন ফ্রেন্ড মিলে পিকনিক
খাচ্ছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, নাজমুল বলল, চল হেটে আসি।
এমন সময় জাহিদ বললো, চুরি করবি??
চুরি করার কথা শুনে সবাই নড়ে চড়ে বসলাম।
জিজ্ঞেস করলাম, কি চুরি করবি?
আসলেই তো কি
চুরি করা যায়....
সবাই ভাবছি, এমন সময় তন্ময় বললো, ডাব চুরি করবি??
ডাব??
কার গাছের??
ও হাসতে হাসতে বললো- কেন ফারদিনের
শ্বশুরের ??
সবাই হৈ দিয়ে উঠলো। শ্বশুর বলতে ফারদিন যার সাথে
প্রেম করে ওর বাপের গাছ।
সবাই মিলে জোরাজোরি শুরু করলাম। অয় পড়লো
মাইনক্যা চিপায়।
নিরুপায় হয়ে বললো - চল তাইলে।
তয় আমারে জানপাখি যেন না জানে, বলল ফারদিন।
চুরির স্থানের বিবরণঃ
আইবিএ ভবনের পূর্ব দিকে গিয়ে হাতের বাঁয়ে একটা মাঠ। আগে এটা ধানি জমি ছিল। বালু দিয়ে জমি ভরাট করে মাঠ বানানো হইছে
মাস খানেক হলো। মাঠের পাশে বিশাল পুকুর, আর সেই পুকুরপাড়ে ডাব গাছের সাড়ি। আর এগুলাই ওর হবু আব্বার।
তা, চুরি করার জন্য জায়গামতো আমরা
সবাই হাজির। ডাবের ফিগার দেইখা আমি সব কিছু ভুইলা গেলাম।
তন্ময় রে বললাম- দোস্ত তোর চোখ আছে
মাইরি... শকুনের চোখ।
কয়েকটা ফ্রেন্ড লুংগি পড়ে আসছিল। প্যান্ট পড়ে
তো আর গাছে ওঠা সম্ভব না। তাই মিঠুনরে বললাম; দোস্ত-তুই গাছে ওঠ, লুঙি পড়ে আছিস।
শালা, ম্যানর ম্যানর করছিল, কিন্ত যখন বল্লাম-যা তোরে দুইটা ডাব বেশি দিমু শালা খাড়ার উপ্রে রাজি হলো।
গাছে উঠা শেষ ওর, আমরা সবাই তাকাই আছি উপ্রে।
ডাব উপড় থেকে ফালায়া দিলে মাটিতে পড়ার সাথে
সাথে ফাটবে, কি করা যায়...
ভাবছি হটাৎ করে ও একটা ডাব পুকুরে ফালায়া দিলো।
ফেলানোর সাথে সাথে শব্দ "ঝুপ"
রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে দিল সেই শব্দ।মনে মনে বলি,খাইলাম বুঝি ধরা...
১ মিনিট যায় ২ মিনিট যায় নাহ বাড়ী থেকে কেউ বাহির
হয় না। বাইচা গেলাম এ যাত্রা...
শালা, ডাব পানিতে ফেললি ক্যান???
সরি দোস্ত...
ডাব পানিতে ফেলাইলে শব্দ, মাটিতে ফেলাইলেও ফাইট্টা যায়...
মহা মুছিবত।
হটাৎ করে মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। ডাব গাছে যে
ফ্রেন্ড উটছে ওরে বল্লাম, দোস্ত তোর
লুঙীটা খোল।
কি??? লুঙী খুলমু ক্যান??
তোরে খুলতে কইছি খোল।
নিচে কিছু পড়ি নাই দোস্ত........
শালা, আমরা ছাড়া আর কে আছে এখানে?তাছাড়া এখন
রাত, কে দেখবে??
তাড়াতাড়ি লুঙী টা ফালায় দে....
বেচারা মন খারাপ করে লুঙীটা দিলো।
লুঙীর একপাশের মুখ গিট দিয়ে বাঁধলাম, লুঙীটা এখন বস্তার মতো কাজ করবে।
সুজন ঐ লুঙীটা নিয়ে ডাব গাছে উঠলো। মিঠুন ডাব ছিড়ে লুঙী
তে রাখে,আর নিচের ফ্রেন্ড টা সেই ডাব নিচে
নিয়া নামে। এমনে কইরা ১৪ টা কি ১৬ টা ডাব পারছি.....
হটাৎ দেখি বাড়ীর ভেতর থেকে কে যেন লাইট
নিয়া এ দিকে আসতেছে। এই দেখে, আমরা ডাব নিয়া
সেই লেভেলের দৌড় লাগাইলাম। দৌড়ানোর সময় মনে হলো, আরে মিঠুনরে তো গাছে রাইখা আসছি......
পিছনে তাকায়া দেখি হারামি লুঙী ছাড়াই দৌড়ায়া আসতেছে।
উফ! কি সিন মাইরি।
পুরাই অস্থির....
আমাদের কাছে আইসা সেই লেভেলের গাইল শুরু..
কুত্তা আমারে ফালায়া আসলি ক্যান??
তোরা তো বন্ধু না শত্রু
শালা, চুপ কর। আগে লুঙী পড়...
জুবায়ের বললো, দোস্ত আজ ডাব না খাই। ধরা খাইতে
পারি। তার চেয়ে কোনখানে লুকায়া রাখি কাল রাতে খামু।
কিন্ত কৈ লুকায়া রাখমু?
সোহান আমারে ধাক্কা দিয়ে বলল, কিরে চুপ কেন???
কিন্ত একি! আমি তো আমার রুমের মেঝেতে পড়ে আছি। স্বপ্ন দেখছিলাম এতক্ষন তবে!
বিঃ দ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন কাল্পনিক, কারো সাথে আংশিক মিলে গেলেও লেখক দায়ী নহে।