Medical life

in #medical7 years ago

প্রতি টা মানুষের আলাদা প্যাশন থাকে।স্বপ্ন থাকে।
আমার প্যাশন ছিলো আর্মি।পরীক্ষা দেইনাই। এয়ার ফোর্সে দিছি।হয়নাই।
ডিফেন্সের পরে আমার প্যাশন ছিলো মেডিকেল!
প্রচ্চুর মেডিকেল শিক্ষার্থী আছে যারা ফ্যামিলিকে খুশী করতে মেডিকেলে পড়ে। আমার কাহিনীটা এমন ছিলোনা। আমি নিজের ইচ্ছায় মেডিকেলে আসছি।
মেডিকেলে অনেক প্যারা,অনেক কষ্ট, ডিপ্রেশন সবকিছুর পরেও এইটা আমার প্যাশন।এত পরীক্ষা,এত আইটেম,ওয়ার্ড বিরক্তির উদ্রেক করলেও এইটারে আমি ভালো পাই। কারন এইটা একটা ম্যাজিকাল জায়গা।এইখানে হাসি-কান্না পাশাপাশি থাকে।আরও অনেক কারন আছে ভালোলাগার যা এক স্ট্যাটাসে লিখে বুঝানো সম্ভব না।
এখন মেডিকেলে পড়লে নাকি দায়িত্ববোধ বাড়ে!
সবার বাড়ে কিনা জানিনা,তবে অনেকেরই বাড়ে।
স্যাররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বলেন এমন ডাক্তার হওয়ার কি দরকার যদি নিজের ফ্যামিলির চিকিৎসা দিতে না পারো?
ফ্যামিলি/পরিবার এই জায়গাটা ডাক্তারদের জন্য অনেক সেনসিটিভ। অনেক বেশী জানা ডাক্তার ও নিজের ফ্যামিলির জন্য একটা ড্রাগ প্রেশক্রাইব করতে গেলে আরেকবার ভেবে নেয়। সিনিয়র এর পরামর্শ নেয়।
আমি যেমনই হই কেন আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করবো কনফিডেন্সের সাথে নিজের ফ্যামিলির সাথে ডিল করার। আমি আমার ফ্যামিলিকে যেইভাবে ডিল করবো আমার অন্যান্য প্যাশেন্ট ও অইভাবে ডিল করবো ইনশাআল্লাহ।
মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পরে মেডিকেল ছাত্রদের কাছে তাদের রিলেটিভ, ফ্রেন্ডস, কাছের মানুষ রা অনেক রকম প্রবলেম শেয়ার করে। আমি দেখসি প্রতিটা ছাত্রই সাধ্যমতো সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে।
থার্ড ইয়ারে একটা ছেলে ওয়ার্ডে/
হাসপাতালে যাওয়া শুরু করে। ফোর্থ ইয়ারে ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি পড়ে। এইসময় টায় সে প্রথমবার কাছ থেকে প্যাশেন্ট, ডিজিজ এইসব নিয়ে জানার সুযোগ পায়,এক্সামিনেশন করে দেখার সুযোগ পায়।
তার প্রেশক্রাইব করার এবিলিটি পাশ করে ইন্টার্নশিপ কমপ্লিট করার পরে শুরু হলেও থার্ড ইয়ার থেকেই তার নলেজ গেইনিং প্রসেস শুরু হয়ে যায়।
সে তার ফ্যামিলি নিয়ে, প্রিয়জনদের নিয়ে ভাবা শুরু করে।
বাড়িতে গেলে বাবা-মার প্রেশার টা চেক করে দেখে,ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আছে কিনা দেখে।লাইফস্টাইল মডিফাই করতে ফ্যামিলির মানুষদের উতসাহিত করে। হাইপারটেনশনের ড্রাগ টা ঠিকভাবে খাচ্ছে কিনা, হুটহাট এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলছে না তো এইসব দিকে নজর দেয়। রিলেটিভ দের বলার চেষ্টা করে জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক না ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইগুলা দেখে অই ছাত্রের বাবা মা ও তার প্রতি যথেষ্ট খুশী হয়। তারা বলে বাহ তাদের সন্তান কত সচেতন হচ্ছে দিন দিন। এই যে ফ্যামিলির প্রতি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এই দায়িত্ববোধের চর্চা এইটা তাদের নিজেদের কাছে একটা ইগোর ব্যাপার। অইযে স্যার রা বলেছিলেন,"নিজের ফ্যামিলির চিকিৎসা যে করতে পারবে সেই ভালো ডাক্তার "
তখন থেকেই এটা মাথায় সেট হয়ে যায়। তাই বাহিরের কেউ যখন কোন কোয়াকের কথায় এই ইগোতে আঘাত করে বসে, দায়িত্ববোধ চর্চা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তখন মন মানসিকতা ভেংগে চুরমার হয়ে যায়।
সবার অবহেলা, অবজ্ঞা দাতচেপে সহ্য করে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু কাছের মানুষদের অবজ্ঞা সব মনোবল নষ্ট করে দেয়।AA48B3C4-8C91-4B42-B16E-F02B188FB894-23164-00000E82B39990FC.jpeg

Sort:  

Manush tar kono kaser manush-er khoti kokhonoy chay na . Tai sir bolese j tar family-er treatment kore tokhon boja jay shay kotoko shikhlo.
R J jai bolok kew jodi shothik rastay hate shay kokhonoy harbe na.