স্পোর্টস ডেস্ক: গোলের সেঞ্চুরি করলেন লিওনেল মেসি। বুধবার রাতে ইউরোপীয় ফুটবলে শততম গোল করলেন তিনি। দলের সেরা খেলোয়াড়ের এমন মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে বেশিরভাগ সময় একজন কম নিয়ে খেলেও অলিম্পিয়াকোসকে সহজেই হারিয়েছে বার্সেলোনা।
বুধবার রাতে কাম্প নউয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল। প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করার পাশাপাশি লুকাস দিনিয়ের গোলে অবদান রাখেন মেসি।
টানা তৃতীয় জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ইউভেন্তুসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা পরের ম্যাচে স্পোর্তিং লিসবনের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল। লাল কার্ড পাওয়ায় পিকেকে ছাড়াই খেলতে হয় মেসিদের।
ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় বার্সেলোনা। জেরার্দ দেউলোফেউয়ের কর্নারে সামুয়েল উমতিতির হেডে বল ছয় গজ বক্সে পান লুইস সুয়ারেস। ছুটে এসে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার বলে পা লাগালেও তা লক্ষ্যে থাকেনি।
১৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে ডি-বক্সে মেসিকে লক্ষ্য করে দেউলোফেউয়ের ক্রস রুখতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন গ্রিক ডিফেন্ডার দিমিত্রিস নিকোলাউ।
২৪তম মিনিটে পাওলিনিয়োর হেড লাগে ক্রসবারে। নয় মিনিট পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন সুয়ারেস, তার শট পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন সিলভিও প্রোতো।
৪২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দেউলোফেউয়ের ক্রস প্রোতো ঠেকানোর পর বল চলে যায় গোলমুখে ছুটে আসা পিকের কাছে। হাত দিয়ে বল জালে ঠেলে দিয়ে গোল তো পাননিই উল্টো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। চতুর্দশ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন স্পেনের এই ডিফেন্ডার।
৬১তম মিনিটে দারুণ ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ফুটবলে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি। তার বাঁকানো শটে গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও ফেরাতে পারেননি।
এবারের আসরে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের এটা তৃতীয় গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ৯৭।
তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন লুকাস দিনিয়ে। বাইলাইনের কাছে এক জনকে কাটিয়ে মেসির বাড়ানো কাটব্যাকে পা লাগাতে ব্যর্থ হন দুজন। কিন্তু ফাঁকায় বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি ডিফেন্ডার।
৮৯তম মিনিটে সান্ত্বনার গোলটি করেন নিকোলাউ। হেডে বল জালে জড়ান শুরুতে আত্মঘাতী গোল করা এই ডিফেন্ডার।
‘ডি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্পোর্তিং লিসবনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউভেন্তুস। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্পোর্তিং। অলিম্পিয়াকোসের পয়েন্ট শূন্য।
‘এ’ গ্রুপে পর্তুগালের আরেক দল বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে জোসে মরিনিয়োর দল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় সিএসকে মস্কোর মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরা বাসেল।
কিলিয়ান এমবাপে, এদিনসন কাভানি ও নেইমারের নৈপুণ্যে আন্ডারলেখটের মাঠ থেকে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরা পিএসজি ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে। নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় সেল্টিককে ৩-০ গোলে হারানো বায়ার্ন মিউনিখ ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
‘সি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছে। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রোমাঞ্চকর ম্যাচে রোমার সঙ্গে ৩-৩ ড্র করা চেলসি ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে ইতালির রোমা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।