বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর। ভাসমান শহরটি গড়ে তোলা হবে ওশেনিয়া অঞ্চলে ফ্রেঞ্চ পলিনেশায়ার আশপাশের কোথাও। সাগর সব সময়ই মানুষকে টেনেছে। সুযোগ পেলেই মানুষ ছুটে গেছে সাগর পাড়ে। আনন্দ, রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার খোঁজে সাগর ভ্রমণেও বেরিয়েছে। শুধু তাই নয়, সাগরে আবাস নির্মাণেরও পরিকল্পনা হয়েছে। সেই পরিকল্পনাই এবার সফল হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে।l
প্রস্তাবিত ভাসমান শহরের নকশাটি ২০২০ সালের মধ্যে এটি গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। এতে ৩০০ মানুষ বসবাস করতে পারবে। এই মানুষদের কাজের জন্য মূল ভূখণ্ডে যেতে হবে না। ভাসমান শহরেই থাকবে তাদের কর্মস্থল। নগরজীবনের প্রায় সব সুবিধা এই নগরে মিলবে বলেও জানিয়েছে সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জো কুইর্ক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ব্লু ফ্রন্টিয়ার্স নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন।
জো কুইর্ক এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া অঞ্চলে তাঁদের পরিকল্পনা সফল হলে সাগর-মহাসাগরে তাঁরা এমন আরও ভাসমান নগর গড়ে তুলবেন। তাঁর মতে, ভাসমান নগরগুলো হবে আসলে এক একটি ভাসমান দেশ। কারণ, এগুলো স্বায়ত্তশাসিত হবে। তবে প্রথম ভাসমান শহরটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সামুদ্রিক অঞ্চলের’ মধ্যে গড়ে তোলা হবে বলে জানান জো কুইর্ক। এতে করে তাঁর প্রতিষ্ঠান অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এই শহর গড়ে তুলতে খরচ হবে ১৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।