অন্ধকার সাইবার জগতে বাংলাদেশী এক হ্যাকারের গল্প:
বিশ্বের অন্তত ৯৯টি দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার পর আবারও আলোচনা হচ্ছে হ্যাকিং ও হ্যাকারদের নিয়ে।
বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বে বহু হ্যাকার সারাক্ষণই বিভিন্ন দেশ, প্রতিষ্ঠান, সরকার ও সংস্থার ওয়েবসাইট, কম্পিউটার সিস্টেম এমনকি ব্যক্তিগত কম্পিউটারও হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হ্যাকিং কতোটা সহজ, কেনো তারা হ্যাক করেন, কিভাবে করেন – এসব নিয়ে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খান কথা বলেছেন একজন হ্যাকারের সাথে। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন হ্যাকিং করা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। তার নাম পরিচয় এখানে গোপন রাখা হলো।
যেভাবে শুরু
তিনি জানান, ক্লাস এইটে পড়ার সময় তার প্রথম পরিচয় হয় হ্যাকিং এর জগতের সাথে। তিনি জানান, তার চেয়েও কম বয়সী ছেলেরা তখন হ্যাকিং করতো বলে তিনি তখন দেখতে পান।
তিনি দেখলেন, তাদের কেউ পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতেও পড়তো। পরে কম্পিউটার জগতের মাধ্যমেই অন্যান্য হ্যাকারদের সাথে ধীরে তার পরিচয় ঘটতে শুরু করে।
হ্যাকাররা ইন্টারনেটের যে অন্ধকার জগতে ঘোরাফেরা করেন তাকে বলা হয় ডিপ ওয়েব। সেখানেই সাইবার অপরাধীদের আনাগোনা।
তিনি বলেন, "আমরা জানি পৃথিবীর এক ভাগ স্থল আর তিন ভাগ জল। এবং সেই পানির নিচে কি আছে সেটাও কেউ জানে না। ডিপ ওয়েব সেরকমই একটি জগৎ।"
"গুগল, আমাজন এগুলো হচ্ছে স্থলভাগের মতো। আর ডিপ ওয়েব হচ্ছে পানির নিচে গভীর অন্ধকার জগতের মতো।"
অন্ধকার জগৎ ডিপ ওয়েব
সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা এই ডিপ ওয়েবে যেতে পারে না। হ্যাকার, সাইবার ক্রিমিনাল, মাফিয়া, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এই জগতে বিচরণ করেন। তাদের সেই দক্ষতা রয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে হ্যাকিং হচ্ছে – এরকম খবরাখবর দেখে তিনি নিজেও একদিন হ্যাকিং করার ব্যাপারে উৎসাহিত হয়েছিলেন।
"প্রথমে আমার মনে হলো দেখি তো জিনিসটা কি। তখন আমি গুগলে সার্চ করতে শুরু করি। জানতে চেষ্টা করি যে হ্যাকারদের ফোরাম কোথায়। এসবের কিছুটা তথ্য সেখানে পাওয়াও যায়।"
"সেখান থেকেই আমি ডিপ ওয়েবের সন্ধান পাই। একটি ফোরামের কথা জানতে পারি। তখন এনিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করার পর আমার চোখ কপালে উঠে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নেই যে এই রোমাঞ্চকর জগতেই আমাকে থাকতে হবে।"
তখনই তিনি শিখে যান ডিপ ওয়েবে কিভাবে লগ ইন করতে হয়, কিভাবে সার্চ করতে হয়, তারপর শেখেন কিভাবে অন্যের কম্িউটারে হানা দেওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর ওই ডিপ ওয়েবেই এক করে আরো অনেক হ্যাকারের সাথে তার পরিচয় ঘটতে শুরু করে।
তিনি জানান, তারপর তিনি নিজে নিজেই ধীরে সবকিছু শিখতে শুরু করেন।
কিভাবে শেখা
নিজের ঘরে ছোট্ট একটা ল্যাপটপ কোলের ওপর বসিয়ে দিনরাত কাজ করতে শুরু করেন তিনি। কাজ মানে হ্যাকিং শেখা। এক পর্যায়ে সেটা তার নেশার মতো হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি জানান, কখনো টানা তিন থেকে চারদিনও ঘরের দরজা বন্ধ করে কম্পিউটার নিয়ে বসেছিলেন এমন ঘটনাও ঘটেছে।
"কেউ যদি বলে যে ভাই আমি হ্যাকিং শিখতে চাই সে জীবনেও কিছু করতে পারবে না। কিন্তু যদি নিজের আগ্রহ থাকে তাহলে সে নিজে নিজেই আস্তে একদিন অনেক কিছুই শিখে ফেলবে।"
ই-মেইলের মাধ্যমেই বেশিরভাগ সাইবার আক্রমণের ঘটনা ঘটে!
তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, কারো ব্যক্তিগত কম্পিউটারে তিনি কখনও আক্রমণ করেন নি। যা কিছু করেছেন তার সবটাই ছিলো সাইবার যুদ্ধের অংশ।
"অবৈধ কিছু আমি করিনি। শুধু কিছু তথ্যের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে হয়তো তার ভেতরে ঢুকে পড়েছি। তারপর সেখান থেকে একসময় চুপচাপ বেরিয়েও আসতাম," বলেন তিনি।
তার মতে, হ্যাকাররা আসলে খারাপ না। খারাপ হচ্ছে ক্র্যাকার।
"যারা হ্যাকার তারা হয়তো কোনো একটা ওয়েবসাইট হ্যাক করবে, সাইবার ওয়ার করবে দেশের পক্ষে। কিন্তু যারা ক্র্যাকার তারা বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্কে আক্রমণ করে, ক্রেডিট কার্ড থেকে তথ্য চুরি করে অর্থ সরিয়ে নেয়। ব্যক্তিগত কম্পিউটারে আক্রমণ করে তাদের কাছ থেকে অর্থ দাবী করে।"
সাইবার যুদ্ধ
নিজে কিভাবে সাইবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন জানতে চাইলে সাবেক এই হ্যাকার বলেন, "হঠাৎ করে আমি দেখলাম আমার দেশে একটা সাইবার আক্রমণ হলো। দেখলাম কোনো একটা ওয়েবসাইট ধসিয়ে দিয়ে সেখানে হ্যাকাররা আমাদের দেশকে গালাগাল করছে। তখন আমি তার প্রতিশোধ হিসেবে একটার বদলে তাদের একশোটা ওয়েবসাইটে অ্যাটাক দিলাম।"
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের সাথে যখন সাইবার যুদ্ধ হয় সেসময় তার রণকৌশল তৈরি করতেন তিনি। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আরো অনেক হ্যাকার তখন এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো।
পোস্ট টা ভালো লাগলে,অবশ্যই,একটা আপভুট দিবেন।
আর একটা কথা পোস্ট টা বিবি সি নিউস থেকে কপিমুক্ত করা।
আর এই লেখাগুলু গুছিয়ে কপি করতে যে সময়টা লেগেছে আমি একটা ফুল আর্টিকেল লিখতে সেই সময়টা লাগেনা।
সবাই পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পরবেন। অন্য সবাইকে নামাজ পড়তে বলবেন। সবাই সদা সত্য কথা বলবেন।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.bbc.com/bengali/news-39908535
thank you cheetha. The text is very important, So give it,
This post has received a 0.78 % upvote from @drotto thanks to: @tauhid26.
You got a 19.17% upvote from @nado.bot courtesy of @tauhid26!
Send at least 0.1 SBD to participate in bid and get upvote of 0%-100% with full voting power.
Hello @tauhid26 This post has been upvoted on behalf of Steem Tuner Discord Community to support you. but dont do copy paste work. This community always seeking for good quality post like this. And try to help them by upvote on their post. Also, Steem Tuner Community helping people a lot in many ways. All you can Participate our contest there like #weekly-curation-lounge, #invitation-challenge, #weekly-contest-challenge, #photocontest-challenge, #3-days-contest-challenge, #show-us-your-hidden-talent, and the most interesting contest is #ulog contest. So why you waiting for. Join and win SBD.
Congratulations! This post has been upvoted from the communal account, @minnowsupport, by tauhid26 from the Minnow Support Project. It's a witness project run by aggroed, ausbitbank, teamsteem, theprophet0, someguy123, neoxian, followbtcnews, and netuoso. The goal is to help Steemit grow by supporting Minnows. Please find us at the Peace, Abundance, and Liberty Network (PALnet) Discord Channel. It's a completely public and open space to all members of the Steemit community who voluntarily choose to be there.
If you would like to delegate to the Minnow Support Project you can do so by clicking on the following links: 50SP, 100SP, 250SP, 500SP, 1000SP, 5000SP.
Be sure to leave at least 50SP undelegated on your account.
Hello, as a member of @steemdunk you have received a free courtesy boost! Steemdunk is an automated curation platform that is easy to use and built for the community. Join us at https://steemdunk.xyz
Upvote this comment to support the bot and increase your future rewards!