“অসহায় বাংলাদেশ”
-- হামিদুল হক তরুন
বাংলাদেশের করুণ পরিনতি আমাকে ব্যকুল করে তুলেছে।
অতীতে কী হতো, এখন কী হচ্ছে, কি হবে অবশেষে?
এই জন্যেই কি লাখো লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে?
ভাবতেও ঘৃণা লাগে মানুষ নেমে গেছে কতো নীচে!
মায়ের জাত নারীরা আজ হয়েছে কতো যে অসহায়!
ঘোমটা দিয়ে যাবে নদীর ঘাটে সে সুযোগ তাদের নায়।
মাস্তানদের ভয়ে রাস্তাতেও আজ চলা যে ভিষন দায়।
কতোজন যে হায় লজ্জা ঢাকিতে নীরবে ঝরিয়া যায়।
ঈমানদার যারা মরে গেছে সব বেঁচে আছে বেঈমান।
পশু আর মানুষ নেই ভেদাভেদ হয়ে গেছে সব সমান।
মানীজন যারা ভাবছে শুধু আজ কোথায় রাখবে মান!
মূর্খ হয়েও টাকার জোরেতে ধরে জ্ঞানীদের কান।
শিক্ষক হয়েও শিক্ষার সাথে আজ করছে ভন্ডামী।
শিখাচ্ছে তারা শিক্ষার চেয়ে টাকাই অনেক দামী।
আমি বলি,“ও হে শিক্ষক ভুল শিখাচ্ছো তুমি।
তোমার ছাত্রই অমানুষ হয়ে ভেঙ্গে দেবে পাগলামী।”
আমরা জানি পুলিশের কাজ দমন করা অন্যায়-অত্যাচার
তবে কেনো হায় তারাই মানুষের ছিনিয়ে নিচ্ছে অধিকার!
টাকার লোভে দোষীকে ছেড়ে নির্দোষকে করছে প্রহার?
আইনের পোষাক পরে ওরা করছে বে-আইনী কারবার।
ভোটের আগে অনেকেই আসে দোয়া নিতে সকলের
হাত ধরে কেদে বলে,“আমি শুধু যে আপনাদের।”
জয়ের মালা পরে যখন ওরা হয়ে যায় বহুদুরের।
গন্ধও নিতে চায়না তখন আর পা ফাটা মানুষের।
ভেবে কি কেউ দেখেছে কভু কারা হচ্ছে দেশের নেতা?
নিজের পেটটা ভরার জন্য তারা খাচ্ছে সবার মাথা।
করুণ কাহিনীর বক্তিতা দিয়ে ভিজায় চোখের পাতা।
দেশের কথা ভুলে ভাবে শুধু আপন স্বার্থের কথা।
স্কুল-কলেজে সন্ত্রাস ভরা, হচ্ছে না লেখা পড়া।
যে হাতে ছিলো বই আর কলম সে হাতে অস্ত্র ধরা।
ভবিষ্যত যাদের পথ চেয়ে আছে নষ্টই হচ্ছে তারা।
জানতে পারি কি এই কূ-কর্মের মদদ যোগাচ্ছে কারা?
মানুষে মানুষে বেঁধে আছে আজ হিংসা আর বিদ্বেষ।
সোনা ভরা সেই বাংলাদেশের আর কিছুই নায় লেশ।
এই অরাজকতা দমন না হলে জানি সবই হবে শেষ।
বিলীন হয়ে যাবে তবু খুলবে না মুখ অসহায় বাংলাদেশ।
আশা করি আপনাদের পাশে পাবো।
upvote??
Yes, I need. Where you?