প্রতিদিন নিশ্চল ভাবে চোখ গুলো গ্রিলের ফাকে চেয়ে থাকে,
বাহিরে বৈরী উতাল ঝড়ের মাঝে ভিজে চলে কত কিছু,
প্রবল ঝড়ে গাছের পাতা গুলো গড়িয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে,
বিষদে বিষিয়ে উঠে চোখের কোনে সিক্ত জলের কোণা--
বৃষ্টিতে ভিজিয়ে চলে বাহিরা রাখা হাতের আঙ্গুল,
ফর্সা রমনীর হাতে বৃষ্টির সচ্চ পানি নীলে বরণ গড়িয়ে পড়ে!
পাথরে বাঁধে বুক, আচমকে উঠে বুকের ভিতর-চোখ আকাশের উপর।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির তালে কত কিছু মনে ভাসে,
গুণগুনিয়ে গান আসে মনে পরবাসে থাকে মানুষটির খোঁজে,
যেন নিরব যতনে সুরে গাওয়া বৃষ্টির নন্দিত মিউজিকে।
ঘরে থাকা প্রেমিক জানে বরষার দিনে,
একটা ব্যথিত হৃদ ক্ষত কতটা দহন করে ভালবাসা মানুষটির নামে-
পরবাসে থাকা প্রেমিকা কি জানে এমন দিনে কত কি ঘটে,
বৃষ্টির দিনে জলের সঙ্গম চোখে! দেহের সঙ্গম কেবল দূরে থাকা প্রেমিকের বেহাল চোখ ঝরানো জলে।
দির্ঘশ্বাসের প্রতিটি স্পন্দনের বর্ষনে ভারি করে চারপাশ,
কোথাও বিন্দু মাত্র আলোর লেশ নেই-
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকানোর মত বুকটা চৌচির হয় মেঘে ঢাকা এই ঘন বরষায়,
তথাপি ঘরে ফিরেনা প্রেমিক।
কেবল কথাপোকথন বৃষ্টির সাথে চোখের জলে
ভিজে থাকা বালিশ জানে-
চোখের কোণায় কতটা জলে গাল ভাসে।
-সংকলন বাংলা।।
...বৃষ্টির দিনে