দক্ষিন এশিয়ার এক অপার সম্ভাবনাময় দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ গুলোর মধ্যে একটি , সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষ এটা বার বার প্রমান করেছে যে জনসংখ্যা কখনোই বোঝা নয় জনসংখ্যা হচ্ছে সম্পদ। কিন্তু বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়া সত্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া এই দেশটি সেরকম ভাবে অগ্রসর হতে পারেনি, বার বার মুখ থুবড়ে পরেছে হায়নাদের কালো হাতের থাবায় । বাংলাদেশের এই পিছিয়ে পড়ার পিছনে আপনি অনেক কারন দর্শাতে পারেন কিন্তু আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য সব গুলো কারন ব্যাখ্যা করা না। একটা দেশ অগ্রসরের পিছনে ভুমিকা রাখে একটা মানুষ আর বর্তমান পেক্ষাপটে যেহেতু ব্যক্তি মানুষ একা নয় তাই এখানে চলে আসে দলবদ্ধ্যত, মানে রাজনৈতিক দল। সেই ব্রিটিশ শাসন থেকে ৪৭ এর দেশ ভাগ ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এই সময়ে এই বাংলায় আমরা যেমন অনেক মহান রাজনিতিবিদ পেয়েছি তেমনি পেয়েছি অনেক রাজনীতিক দল ও । আজকের এই সময়ে এসে একটা দেশের পরিবর্তনের জন্য একটা রাজনিতিক দল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তারই ধারাবাহিকতায় আমার ব্যক্তিচিন্তায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোকে যদি বিভক্ত করি তাহলে চার ভাগে বিভক্ত করতে পারি, আওয়ামিলিগ/বিএনপি (যেহেতু তারা একই ধারার গতানুগতিক রাজনৈতিক দল), জামায়াতে ইসলামি সহ অন্যান্য ইসলামিক দল, বামপন্তি রাজনৈতিক দল, এবং সর্বশেষ হায় হায় পার্টি , এখানে হায় হায় পার্টি বলার কারন হচ্ছে এই দল গুলো এক দল এক নেতায় পরিনত হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী আছে কিন্তু সেই পরিমান পরিশ্রম নেই , তাদের কাজই হচ্ছে বড় দল গুলোতে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা।
বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের গতানুগতিক দুটি রাজনীতিক দল, যদি অন্য ভাষায় বলতে হয় তাহলে মুদ্রার এপিট/ওপিঠ, যাদের আচরন সর্বদা একি। আমাদের দেশের মানুষ ও এদের কে ছাড়া বিকল্প কিছু চিন্তা করতেই পারে না, অবস্তাটা এমন যে তারা ছাড়া দেশে আর কোনো দল নাই , যেনো অন্য কোনো দলের কথা চিন্তা করলে আমি জাহান্নামি হয়ে যাবো । কিন্তু আশার বানী হচ্ছে রিসেন্টলি আমরা পাকিস্থানে পরিবর্তন দেখছি, লেখকও এখানে পরিবর্তন আশা করেন যার দরুন ই আজকের এই উপস্থাপনা। যারা এই দুই গতানুগতিক দলের বাহিরে যাওয়াকে এক প্রকার হারামই মনে করেন তারা এখানেই থেমে যান , আপনার জন্য এই লেখা নয়। এই লেখায় ধারাবাহিক ভাবে চেষ্টা করবো আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই চার ধরনের দল সম্পর্কে পাঠকদের একটা সম্যক ধারনা দেওয়ার জন্য, এবং এটা এখন সময়ের দাবী, আমরা বড় দুইটি রাজনৈতিক দলের বাহিরে গিয়ে অন্য দলগুলোকে কখনো বুজতে চাইনি বা তারাও আমাদের কে বুজানোর সেইরকম সুযোগ পায়নি বা চেষ্টা করেনি, ব্যক্তিআগ্রহ থেকেই তাদের সম্পর্কে পড়াশুনা করা এবং সেগুলো আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি এই দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামিক রাজনৈতিক দল, পাশাপাশি এটি পুরনো রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে একটি যেটা কিনা ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। দলটির পূর্ব নাম ছিল জামায়াতে ইসলামি ৪৭ এর দেশ ভাগের পর জামায়াতে ইসলামি ও দুই ভাগ হয়ে যায় যার একটি ছিল জামায়াতে ইসলামি পূর্ব পাকিস্থান সেখান থেকেই পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ গঠিত হয় । ২০১৩ সালে হাইকোর্ট এর এক আদেশের কারনে আবারো তাদের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি রাখা হয়। এখানে বলাবাহুল্য লেখক জামায়াতে ইসলামি দিয়েই লেখাটা শুরু করলেন কেনো!! সহজ কথা ! নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে, আর লেখক ও একজন সাদাসিধে মানুষ ই বটে। ৭১ সালের ভুমিকা নিয়ে এই দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত দল হচ্ছে জামায়াত, তাই লেখকের তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ টা দিন দিন তিব্র থেকে তিব্রতর হওয়ার বহিঃপ্রকাশ.................. চলবে ।
Congratulations @sifatullah! You have completed the following achievement on Steemit and have been rewarded with new badge(s) :
Award for the number of upvotes
Click on the badge to view your Board of Honor.
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP