পৃথিবী তে কিছু মানুষ কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস করে তাদের জীবনে প্রেম দেয় ঠিক ই, কিন্তু মোক্ষম সময়ে সেটা কেড়ে নেবার জন্য তারপর ও তারা প্রেম থেকে যে স্বল্প সময়ের ভাল বাসার পরশ টুকু পায়, সেটা ধরে ই পুরা জীবন কাটিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না এমন ই এক কাহিনী র ছবি মোহাব্বাতেণ। যে প্রেম কাহিনীর শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই এমন এক কাহিনীর চরিত্রের জন্য আদিত্য চোপড়া প্রথমে বেশ চিন্তাযুক্ত ছিলেন যে ভাবে আদিত্য চিন্তা করছে, সেভাবে কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবেন কিনা? ইয়াশ চোপড়ার ছিল শাহরুখ খান এর উপর প্রচুর আস্থা। কারন শাহরুখ খান কখনো ই ইয়াশ চোপড়া কে খালি হাতে ফেরান নি। সেজন্য ই ইয়াশ চোপড়া আদিত্য চোপড়ার কাছে রাজ আরিয়ান এর চরিত্র এর জন্য শাহরুখ খান এর নাম প্রস্তাব দেন আদিত্য চোপড়া যেভাবে রাজ আরিয়ান চরিত্র টিকে কল্পণা করেছিলেন, শাহরুখ খান সেটার থেকে ও বেশী ভাল এক্টিং করেছিলেন। যেটা পরে আদিত্য চোপড়া স্বীকার করেছিলেন শাহরুখ খান তার জীবনের শুধু না, বলিউড এর ইতিহাসে সর্বকাল এর সেরা রোল প্লে করেছে এই ছবি তে শাহরুখ খান এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এই ছবি তে, যেটা দেখে স্থির বিশ্বাস জন্মাবে যে, রাজ আরিয়ান বেহেস্ত থেকে নেমে আসা এক ফেরেস্তা যার শরীর আর মন থেকে প্রতিণিয়ত বিচ্ছুরিত হচ্ছে প্রেম আর ভালবাসার অমিয় বাণী এই ভালবাসার শক্তি কে মোকাবেলা করেছেন নারায়ন সাঙ্কার নামে একজন কঠোর দিল এর লোক, যে প্রথমে কঠোর না থাকলে ও দ্বায়িত্বর প্রতি কর্তব্য আর নিষ্ঠা করে তুলেছে তাকে এক বাস্তবতা বিবর্জিত মানুষ ছবির কাষ্ট শুরু হবার পূর্বের কাহিনী। সেসময় অমিতাভ বাচ্চান ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ টেনশনে ছিলেন। তার অভিনয় করা বেশ কয়েক টি ছবি সে সময় ফ্লপ না খেলে ও মোটামুটি হিট পায়। এর সাথে ছিল অমিতাভ এর প্রোডাকশন হাউজ ABCL এর ব্যর্থতা। ছবি করার জন্য ব্যাংক থেকে যে লোন নিয়েছিলেন, সেটা শোধ করতে পারছিলেন না। এতে তার ইমেজ প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল এমন সময় বন্ধু ইয়াশ চোপড়ার কথা মনে পড়ে। তার কাছে আসলে ইয়াশ চোপড়া বললেন, আমাদের একটা প্রোজেক্ট আসছে এটার মধ্যে চাইলে তুমি অভিনয় করতে পার। অমিতাভ বাচ্চান পিতার রোল এর পূর্বে একটি ছবি তে ও করেন নি। রোল টিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলেন। এই ছবি তে এত ই প্রাণবন্ত অভিনয় করলেন অমিতাভ বাচ্চান যে তাকে পরে আর অর্থ আর ফেম নিয়ে ভাবতে হয় নি রিওমার ছিল অমিতাভ এর বিপরীত এ প্রথমে শ্রীদেবী কে কাষ্ট করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল । ছবির স্ক্রিপ্ট দেখে শ্রীদেবীর খুব একটা মনে ধরে নি, এজন্য না করে দেন। আদিত্য চোপড়া অন্য নায়িকা কাষ্ট করতে চাইলে ইয়াশ চোপড়া বলেন, শ্রীদেবী ছাড়া আর কেউ চরিত্র টা ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। ফলে শ্রীদেবীর চরিত্র টা কেটে ছবির কাহিনী লিখা হয় ঐশ্বরিয়া রাই এর উপস্থিতি স্বল্প সময় এর জন্য হলে ও আকাশ থেকে নেমে আসা এক পরীর মত ই অভিনয় করেছেন। যতক্ষণ দর্শক রা তাকে দেখবেন, অদ্ভুত এক স্বপ্নের রাজত্বে বিচরন করবেন। ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি স্বপ্ন আর ভালবাসার অচেনা এক মিশেল যার স্বাদ ছবির প্রতি টা পরতে পরতে থাকবে ছবির শ্যুটিং করা হয়েছে ইন্ডিয়া এবং ইংল্যান্ডে রাজ আরিয়ান এর সাথে নারায়ন সাঙ্কার এর প্রথম দেখা করার পূর্বে যে ক্যাম্পাস টা দেখানো হয় সেটা কুইনস কলেজ, ক্যামব্রিজ এর। আর গুরুকুল স্কুল এর ফিল্মিং করা হয়েছে কুখ্যাত লংলিট হাউজ এ। জনশ্রুতি আছে, এখানে রাত এর বেলাতে বিভিন্ন সেপ এর অশরিরি দেখতে পাওয়া যায় রাজ আরিয়ান এবং নারায়ন সাঙ্কার এর মত চরিত্র শুধু বলিউড এই না, সারা বিশ্বের ছবি তে ই বিরল। এই ছবি দিয়েই ফ্রান্স, ব্রাজিল সহ বিশ্বের অনেক দেশে ভারতিয় ছবির বাজার খুলে ইউটিউব এ ছবির চার পার্ট এর শ্যুটিং ভিডিও আছে। দেখা না হয়ে থাকলে দেখতে পারেন দর্শক দের জরিপ এ এটা সর্বকাল এর সেরা ওয়েটেড মুভির একটা পরিচালক এবং কাহিনী : আদিত্য চোপড়া প্রযোজক : ইয়াশ চোপড়া অভিনয় : অমিতাভ বাচ্চাণ, ঐশ্বরিয়া রাই, শাহরুখ খান বাজেট : ১৯০ মিলিয়ন রুপি বক্স অফিস : ৯০০ মিলিয়ন রুপি রেটিংস : আইএমডিবি : ৭.১/১০