মানুষ ভালো এবং মন্দ দুই রকমের হয়ে থাকে। তবে যারা ভালো ,তাদের ভিতরেও মন্দ থাকে। হয়তোবা সেই মন্দটাকে তারা বাইরে আসতে দেয় না। হয়তোবা সে মন্দটাকে তারা লুকিয়ে লুকিয়ে করে। হয়তোবা সেই মন্দটাকে তারা পরিহার করে চলে। এই মন্দ ভাবনাটাই শয়তান করে থাকে। প্রত্যেকে ভিতরেই শয়তান রয়েছে
পূর্বে আমার ভিতরে অনেক শয়তান ছিল। অনেক মন্দ চিন্তা ছিল। তবে বর্তমানে আমি নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি। প্রতিনিয়ত করছি।
সত্যি বলতে সবার প্রথমে মনের মন্দ চিন্তাটাই হলো নারী বিষয়ক। নিজের মন সবসময় নারীকে নিয়েই ভাবে। একজন পুরুষ হিসেবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। ভিতরের শয়তানটা বারবার বলে ,এটা করো ,ওটা করো। সবসময় কু-মন্ত্রণা দিতে থাকে।
ছোটখাট একটা বিষয়ে হঠাৎ আমি রেগে যাই। ছোটখাটো বিষয়ে দোকানদারের সাথে,রিক্সাওয়ালার সাথে ,বাসের হেলপারের সাথে, বন্ধুদের সাথে দ্বন্দ্বে মেতে উঠি। তবে এই স্বভাবটা আমার মধ্যে নিতান্তই কম। আমার বন্ধুরা আরও বেশি রাগান্বিত। এটাও কিন্তু ভিতরের শয়তানটাই করে থাকে। আমরা চাইলেই সেই সমস্যাকে সহজেই সমাধান করতে পারি।
আরেকটা স্বাভাবিক বিষয়, যখন কেউ আমাকে কোন কাজ করতে বলে ,আমার ভিতরটা বলে ওঠে এর বিপরীতটা করবি। যদি সে ভালো কাজও করতে বলে, ভিতরটা বলে ওঠে খারাপ টায় ভুল কি? যদি বাবা-মা বলে এই কাজটা করো, আমার ভিতরটা বলে এর বিপরীতটা করবি। তোর জীবন,তোর নিয়মকানুন, তুই কেন অন্যের কথা শুনবি।
নিজের মন্দ দিকটা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কারণ এটা শুধুমাত্র আমি এবং আমার ভিতরের মানুষটাই জানে। প্রতিনিয়ত আমাকে আমার, ভিতরের মানুষটার সাথে যুদ্ধ করতে হয়। সে আমাকে নানান মন্দ চিন্তা দিয়ে থাকে। তবে সেই ব্যক্তি হলো উত্তম ব্যক্তি যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সব সময় ধৈর্য ধারণ করা উচিত এবং উত্তম সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। ভালো মন্দের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।