ব্যর্থতার তিনটা লেভেল আছে। ক্লাসে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা, কিছু না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে স্যারের কাছ থেকে বুঝে না নিতে পারাটা হচ্ছে মাইক্রো লেভেলের ব্যর্থতা। এই মাইক্রো ব্যর্থতাগুলো কারেক্ট করে না নিলে, দুই সপ্তাহ পরে ক্লাসটেস্ট এ ফেল করলে, মিনি সাইজের ব্যর্থতা এসে তোমাকে ওয়ার্নিং দিবে। তাতেও হুশ না ফিরলে পরীক্ষায় ফেল করে, মেগা সাইজের ব্যর্থতা নেমে আসবে।
তবে মনে রাখবে- কেউ পরীক্ষায় ফেল করে না, প্রিপারেশন নিতে ফেল করে। কেউ চাকরি পেতে ব্যর্থ হয় না, ইন্টারভিউর প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়। পরীক্ষার হল বা প্রশ্নের ধরণ তোমার রেজাল্ট নির্ধারণ করবে না। বরং তোমার রেজাল্ট নির্ধারণ হবে- ক্লাসনোট তোলার সিনসিয়ারিটি, ক্লাসটেস্ট দেয়ার সিরিয়াসনেস, আর পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন নেয়ার ডেসপারেটনেস দিয়ে। সেজন্যই পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে সবার ডায়রিয়া হয়ে গেলেও, যে ফার্স্ট হবার সে ঠিকই ফার্স্ট হবে। বাকিরা বিদঘুটে প্রশ্ন, স্যারের পড়াতে না পারা, পীরিতির ক্যাঁচানি, জুকারবার্গের টানাটানিকে দায়ী করে সান্ত্বনা খুঁজবে।
লাইফের সব ব্যর্থতাই মাইক্রো লেভেলের ব্যর্থতা দিয়ে শুরু হয়। সেজন্যই আজকের কাজগুলো আজকে শেষ না করলে, আজকের পাওনাগুলো আজকে আদায় করে না নিয়ে সেগুলা খেলা দেখা, ইন্টারনেট/মোবাইল ফোনকে দিয়ে দিলে, আজকের হিসেবের খাতায় মাইক্রো লেভেলের ব্যর্থতা জমে যাবে। সেগুলাই এক সপ্তাহ পরে মিনি সাইজের ব্যর্থতা আর এক বছর পরে মেগা সাইজের ব্যর্থতার হয়ে তোমার কাছে ফিরে আসবে।
তাই, লাইফে মেগা লেভেলের ব্যার্থতা এভোয়েড করতে চাইলে, মাইক্রোগুলা কন্ট্রোল করো।
Congratulations @rifatnsu! You received a personal award!
You can view your badges on your Steem Board and compare to others on the Steem Ranking
Vote for @Steemitboard as a witness to get one more award and increased upvotes!