খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে লামেলার গোলে ৩-২ এ ব্যবধান কমিয়ে সমতায় ফিরতে ম্যাচের বাকি সময় অলআউট ফুটবল খেলেছে টটেনহ্যাম। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বারবারই বার্সেলোনার রক্ষণ ভাঙতে চেয়েছে। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। উল্টো ৯০ মিনিটে জর্দি আলবার পাস থেকে পেনাল্টি সীমানায় বল পেয়ে গোলরক্ষক লরিসকে বোকা বানিয়ে টটেনহ্যামের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন লিওনেল মেসি।
নিজেদের মাঠে ৪-২ এ হেরে যায় টটেনহ্যাম। আর বার্সেলোনা পেল রোমাঞ্চে মোড়া এক জয়। যেখানে মেসি একাই করেছেন ২ গোল। বাকি দু’টির একটি এসেছে ফিলিপ কুতিনহো ও ইভান রাকিতিচের পা থেকে।
আর টটেনহ্যামের গোলদাতা হ্যারি কেইন ও এরিক লামেলা।
অবশ্য বুধবার (৩ অক্টোবর) শুরু থেকেই নিজেদের মাঠে গোছালো খেলা উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা। সাফল্যও এসেছে বলতে গেলে হাতেনাতে। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ২ মিনিট। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বাতাসে বল ভাসিয়ে লেফ্টফ্ল্যাংকে জর্দি আলবাকে বল দিলেন মেসি। গোলবার থেকে তিনি ২০ গজ দূরে। সেখানে তাকে ট্যাকেল করতে গোলবার ফাঁকা রেখে উঠে এলেন টটেনহ্যাম গোলি লোয়োরিস। ফল হলো উল্টো। লরিসকে কাটিয়ে আলবা বলটি ঠেলে দিলেন পেনাল্টি সীমানায় দাঁড়ানো ফিলিপ কুতিনহোকে। লুফে নিয়েই জালে ঠেলে দিলেন কুতিনহো। শুরুতেই হোঁচট খেল হটস্পাররা।
২৮ মিনিটে কুতিনহোর এগিয়ে দেওয়া বল দুর্দান্ত ভলি বানিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান রাকিতিচ।
সমতায় ফিরতে প্রথমার্ধেই বার্সা রক্ষণ ভাঙতে চেয়েছে টটেনহ্যাম। ঠিক তেমনি এক প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল ৩৩ মিনিটেও। দারুণ লং শটে জালে বল জড়াতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেন। যদিও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যর্থ হননি। ৫২ মিনিটে লামেলার পা থেকে আসা বল বার্সা জালে ঠেলে ব্যবধান ২-১ নামিয়ে আনেন।
মিনিট পাঁচেক অতিক্রম না হতেই আবার গোল। তবে এবার তা গেলো বার্সেলোনার পক্ষে। আর গোলদাতা মেসি। ৫৬ মিনিটে জর্দি আলবার আরেকটি অ্যাসিস্ট থেকে হটস্পার গোলরক্ষক লোরিসকে পরাস্ত করে ৩-১ এ ব্যবধান বাড়ান এ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
ব্যবধানটি মিনিট দশেকও ধরে রাখতে পারেনি কাতালান শিবির। ৬৬ মিনিটে সন হিউন মিংয়ের এগিয়ে দেওয়া বল থেকে স্কোর লাইন ৩-২ নিয়ে যান এরিক লামেলা। সমতার স্বপ্ন জাগে স্বাগতিক শিবিরে। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহুর্তে মেসি আঘাতে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়েই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
http://www.ta4mx.blogspot.gr/2011/09/blog-post_16.html
blog was not found on the web, where is it??