চলছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াই। ইতিমধ্যেই দু'দলের মধ্যকার প্রথম দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দুইটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে ফেলতেই যতসব আয়োজন !
বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। একই মাঠে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো পারফরমেন্সের পর এই ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে ভালো জয়ের আশা করছিলো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ভক্ত সমর্থকেরা।
বাংলাদেশের আমন্ত্রণে জিম্বাবুয়ের হয় ওপেনিংয়ে আসে জয়লর্ড গাম্বেয়ি এবং মারুমানি। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ভালো পারফরমেন্স করতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ের ওপেনাররা। পাশাপাশি দলের বাকি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও আউট হয়ে যায় অল্প রানেই ৷ ফলে দলীয় ৪২ রানেই পাচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সফরকারি জিম্বাবুয়ে দল।
একটা সময় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল জিম্বাবুয়ের দলীয় শতরানের পূর্ণতা নিয়ে। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অসাধারণ ব্যাটিং পারফরমেন্স করে জিম্বাবুয়ের দুই তরুণ ক্রিকেটার জনাথন ক্যাম্পবেল এবং ব্রেইন বেননেট। তাদের মহামূল্যবান ৭৩ রানের পার্টনারশিপে দলীয় ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ড গড়ে ব্রেইন বেননেট। বাংলাদেশ হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেয় রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ।
জিম্বাবুয়ে দেওয়া ১৩৯ রানের তবে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই করে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে এই ম্যাচে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা জুনিয়র তামিম। পরবর্তীতে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লিটন কুমার দাস এবং ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত নিজেদের ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তরুন পারফর্মার তৌহিদ হৃদয়ের ভালো পারফরমেন্সে ছয় উইকেটের ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ দল।
তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ৩৭ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকে। ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ওভার বাউন্ডারি হাকায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং হৃদয়। টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। আরেকটি ম্যাচ জিতলেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় করবে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন পারফরমেন্স বিশ্বকাপের আগে ভক্ত সমর্থকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল আবারও মাঠে নামবে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে!
BANGLADESH CRICKET : THE TIGERS