আর মাত্র পাঁচ দিন পরেই শুরু হতে চলছে ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াই। আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এবারের আইসিসি বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই স্বাগতিক আমেরিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেন মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে কতটুকু প্রস্তুতি সারলো বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ এবং আমেরিকার মধ্যাকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২১ মে। আমেরিকার পেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা। এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে এগিয়ে ছিল সফরকারি বাংলাদেশ দল। কেননা বাংলাদেশ একটি টেস্ট খেলুরে দল যার বর্তমান টি-টোয়েন্টি রেংকিংয়ে পজিশন নবম। অপরদিকে ক্রিকেটের সহযোগী দল আমেরিকা। ব্যাংকিং এর হিসাবেও বাংলাদেশ থেকে দশধাপ পিছিয়ে দলটি। তাই সবাই ভেবেছিল আমেরিকার বিপক্ষে সহজেই জয় পাবে বাংলাদেশ দল!
কিন্তু ম্যাচের প্রেক্ষাপটটা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে একাদশ হাজারো বাংলাদেশ দল এই ম্যাচে ২০ ওভার ব্যাটিং করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে তৌহিদ হৃদয়। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করে অভিজ্ঞতা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু এই ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫৩ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পর এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিল দলটির বোলাররাও।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৩ রানের যবে ওপেনিংয়ের শুরুটা ভালোই হয়েছিল স্বাগতিকদের। স্টিভেন টেইলর, এন্ড্রিস গউস এর ভালো কন্ট্রিবিউশনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল দলটি। ম্যাচের শেষ দিকে কুরি এন্ডারসন এবং হারমিট সিংয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো হারায় আমেরিকা। এই ম্যাচে বাংলাদেশের নামিদামি বোলাররা শেষ পাচ ওভারে ৫০ রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ!
প্রথম ম্যাচে হারের পর সবাই ভেবেছিল দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ দল। অনেকেই আমেরিকার প্রথম জয়কে অঘটন আখ্যা দিয়েছিলো। কিন্তু না! বাংলাদেশ দলের থেকে আমেরিকাও যে কোন অংশে কম নয় তার প্রমান মিলেছে দ্বিতীয় ম্যাচে। ২য় ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৪৪ রান করতে সক্ষম স্বাগতিকরা। কিন্তু আমেরিকার মতো দলের বিপক্ষে ১৪৪ রান তারা করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ছয় রানের বিপক্ষে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারের লজ্জার রেকর্ড গড়ে দলটি!
প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পায় বাংলাদেশ। দলটির সমর্থকরা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিপক্ষে যেমন পারফরমেন্স আশা করে তারই প্রতিফলন ঘটে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আমেরিকাকে শুরুতে ১০৪ রানেই আটকে দেওয়ার পর কোন উইকেট না হারিয়ে ম্যাচে জয় পায় সফরকারীরা। এই ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে একাই ছয় উইকেটে শিকার করে। তবে এই ম্যাচে জয় পেলেও বাংলাদেশের পারফরমেন্সে তীব্রভাবে হতাশ দলটির লক্ষ লক্ষ সমর্থক। এমন পারফরমেন্সের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশি স্কোয়াড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই!