()
সম্ভাবনাময় বিদেশী ফল,
''রকলেমন'' এখন দেশেই চাষ হচ্ছে:
==========================
Cantaloupe (ফুটি) যার আরো কিছু নাম রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানী ডিউ এবং আরবিতে অনেক দেশে সাম্মাম ও বলে থাকে। এই ফল ২ ধরণের হয়ে থাকে – ১। হলুদ মসৃণ আবৃত চামড়ার ভেতরের অংশ একদম আমাদের দেশের বাঙ্গী এর মত অন্যটি ২। চামড়ার অংশ খশখশে এবং চামড়ার ভেতরে অংশে হালকা হলুদ এবং বাদামি বর্নের।
বপনের সময়ঃ
এই বীজ বপনের সঠিক সময় গরমের সময় ১। শীত আসার পূর্বে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ২। মার্চ থেকে জুন (বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে- বীজ থেকে চারা হবার পরে যাতে অতিবৃষ্টির পানির মধ্যে এই গাছ না পড়ে)
মাটিঃ
যে কোন ভালো মানের মাটি যেমন -বেলে মাটি, বেলে-দোয়াশ মাটি, দোয়াশ মাটি, লক্ষ্যনীয় বিষয় মাটি অবশ্যই ঝুরঝুরে হতে হবে যাতে তলদেশ পর্যন্ত সেঁচের ব্যবস্থা হয়, মাটির উপরের অংশে কোনভাবেই পানি জমতে দেয়া যাবে না।
বীজ বপনঃ
ছাঁদে বাগান করার ক্ষেত্রে- ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি টবে বা এমন মাপের যে কোন পাত্রে ২ টি অর্ধ ইঞ্চি মাটির নিচে এই বীজ বপন করতে হবে। মাটি পরিমানে কম হলেও এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমান জৈবসার এবং জৈব উপাদান বিদ্যমান থাকতে হবে। পাত্রের মাটি সব সময় ঝুরঝুরে রাখতে হবে এবং ভালো হবে টব বা পাত্রের মাটির উপরের অংশ কোণ প্লাটিক কাগজ বা ভালো গেঞ্জির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলে। বানিজ্যিকভাবে জমিতে করলে মাটিকে উঁচু করে বীজ বপন করতে হবে এবং সেঁচের জন্য ড্রেইন ব্যবস্থা রাখা যাতে গাছের গোঁড়ায় অতিরিক্ত পানি না জমতে পাড়ে এবং এক একটি চারার দূরত্ব হবে দেড় থেকে ২ (দুই) ফিট এবং এক একটি মাদাতে – ২-৩ টি বীজ বপন করতে হবে। বীজ অথবা চারা রোপণ শেষে হালকা সেচ দিতে হবে।
জমিতে লক্ষণীয় বিষয়ঃ
জমিতে চারা অবশ্যই উঁচুতে থাকতে হবে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে। মাটির উপরের অংশ অবশ্যই মালচিং করতে হবে। প্ল্যাস্টিক কাগজ বা মোটা কাগজ অথবা ভালো গেঞ্জির কাপড় দিয়ে এই মালচিং করতে পাড়েন।
বীজ অঙ্কুরোদগমঃ
৫-১০ দিনের মধ্যে অনেক সময় তাপমাত্রা কম হলে ১২-১৫ দিন সময় ও লাগে।
![32235738_857192897800269_9122027370063069184_n.jpg]
ফুল এবং ফলঃ
বীজ অংকুরোদ্গমন হবার পর থেকে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৩০-৪০ দিনের মধ্যে পরিপূর্ন ফল পাওয়া যায়।
সার সুপারিসঃ
মাটি তৈরি করার সময় জৈবসার এবং জৈব উপাদান ভালো ভাবে মিশ্রিত করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে নাট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং সালফার এর উপস্থিতি আছে কিনা প্রয়োজনে সার প্রয়োগের পূর্বে মাটি পরীক্ষা করে নিতে পাড়েন বাণিজ্যিকভাবে করার আগে আর যারা ছাঁদে চাষ করবেন তারা ভার্মি কম্পোষ্ট প্রয়োগ করতে পাড়েন এবং ফসফেট, ফসফরাস ও সালফার আছে এমন মিশ্র সার প্রয়োগ করতে পাড়েন।
সেচঃ
চারা অংকুরোদ্গমন হবার পর থেকে ২-৩ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই সেচ এমন দেয়া যাবে না যে পাত্রে অথবা চারা নিচে অনেক পানি জমে থাকে। ফুল আসার সাথে সাথে সেচ ব্যবস্থা প্রতি একদিন পর পর দিতে পাড়লে ভালো ২ দিন -৩ দিনের দিন দিলেও হবে।
অতিরিক্ত পরিচর্যাঃ
যেহতু এটি একটি লতা জাতীয় গাছ এবং এর লতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় তাই এর লতা ধারণের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ২ (দুই) ভাবে এই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পাড়ে ১। মাচা পদ্ধতি ২। মাটিতে খড়কুটো বিছিয়ে দিয়ে।
পোকামাকড় ও রোগবালাইঃ
এই ফলে হলুদ মাছি পোকা এসে গাছের পাতা ফুটো করে দেয় কান্ড এবং পাতার রস চুষে রস টেনে গাছের ক্ষতি করে এবং ফল আসার পরে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হয় তাতে গাছের ফল পচা রোগের সৃষ্টি হয় এবং ফল পচে যায়, সমাধান হলো মাটি এবং গাছ প্রতিনিত লক্ষ্য রাখতে হবে, মাছি যাতে না আসে তার জন্য প্রায়শ জৈব বালাইনাশক নিতে হবে না পেলে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তাকে দেখিয়ে পোকার জন্য ঔষধ নিতে পাড়েন আর ফল যাতে ছিদ্র না করতে পাড়ে তার জন্য ফল আসার সাথে সাথেই আপনার গাছের ফলটি ঢেকে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
Congratulations @alemrantorun! You received a personal award!
You can view your badges on your Steem Board and compare to others on the Steem Ranking
Do not miss the last post from @steemitboard:
Vote for @Steemitboard as a witness to get one more award and increased upvotes!