চলচ্চিত্র শিল্পে ‘কাস্টিং কাউচ’ বলে যে কথাটি চালু আছে, তা যে গুজব নয়, সেই সারসত্য বলে ফেলেছেন বলিউড ফিল্মের প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান।
‘কাস্টিং কাউচ’ নামে এই চালু কথাটার অর্থ হচ্ছে: কোন অভিনেত্রীকে ফিল্মে সুযোগ পেতে হলে আগে তাকে প্রযোজক বা পরিচালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে রাজি হতে হবে।
এ নিয়ে আগেও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই মুখ খুলেছেন, কিন্তু সরোজ খান তার সঙ্গে যেটা জুড়েছেন, সেই কথাটা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্পে অন্তত এ ব্যাপারটা আছে যে মেয়েদের ‘ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া হয় না’ – তাদের রুজি-রুটির ব্যবস্থাও করে এই শিল্প।
সম্প্রতি এক দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী কাস্টিং কাউচের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রায় নগ্ন অবস্থায়।
সেই প্রসঙ্গেই গতকাল সরোজ খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সংবাদ মাধ্যম।
মিজ. খান বলেন, “সব ক্ষেত্রেই তো এটা চলে আসছে বহু যুগ ধরে। শুধু চলচ্চিত্র শিল্পের নাম নেওয়া হচ্ছে কেন? মেয়েদের কাছ থেকে সকলেই সুযোগ নিতে চায়। সরকারও চায় !”
“সরকারে থাকা লোকজনরা যখন এটা করে? আপনারা শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে পড়ে রয়েছেন! এখানে তো অন্তত ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া হয় না, রুটি রুজিরও ব্যবস্থা হয়” – বলেন সরোজ খান।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন – “কোনও নারী যদি এর মধ্যে যেতে না চায়, সে না যেতেই পারে! যদি অভিনয় শিল্প থাকে কারও মধ্যে, তাহলে সে এমনিতেই কাজ পাবে।”
সরোজ খান বলিউডে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন শিল্পী – তার বয়স এবং শিল্পকলা – দুয়ের জন্যই তিনি সম্মানিত হয়ে থাকেন। নৃত্য-পরিকল্পনার জন্য সরোজ খান তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারও পেয়েছেন।
কিন্তু তার ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইএর কাছে আজ তিনি ওই মন্তব্যের জন্য দু:খপ্রকাশ করেন। তবে তাতে সামাজিক মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় থামে নি।
একজন টুইট করেছেন – কাস্টিং কাউচকে সমর্থন করা মানে তো ধর্ষণের পক্ষে কথা বলা!
কেউ বলছেন, মিজ খান সেই সত্যটাই প্রকাশ করে দিয়েছেন, যেটা সবাই আগে থেকেই জানত।
আরেকজনের মন্তব্য, কারো রোজগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই একটা অন্যায়, একটা অপরাধ করা যায় না।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.bbc.com/bengali/news-43877291