বাংলা বর্ষবরণ বা পহেলা বৈশাখ
এ দিনটি অনেক ঘটা করে পালন করে এদেশের মানুষ । অনেকের মতে এই দিনটি পালন করতে কাউকে বাধা দিবে বা যে পালন করবে না, সে বাঙালি জাতির কলঙ্ক ।
বল্লা বাহুল্য , এই বাংলা সনের নির্মাতা ও প্রবর্তনকারী উভয়ই মুসলমান । কিন্তু বর্তমানে এই সনের "বরণ" এর আয়োজন, প্রদর্শনী, অনুষ্ঠানাদী দেখলে মনে হবে এগুলো অমুসলিমদের অনুষ্ঠান চলছে ।
image collected
এর ইতিহাস ঘাটলে এমন খাস কিছু পাওয়া যাবে না, যার কারণে এতো ঝাঁকজমক ভাবে এই দিন পালন করা হয়। এদেশের হাতে-গোনা কয়েকজন জানে মাত্র বাংলা সন প্রবর্তন হয় সম্রাট আকবর এর আমলে "ফসলী" সন হিসেবে। মোঘল আমলে সবখানে হিজরী সন হিসেবে রাজস্ব আদায় হতো । আর হিজরী সন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থির থাকতো না। হিজরী নির্দিষ্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের তারিখ নির্ধারণ থাকলেও প্রজাদের জন্য তা আদায় করা কঠিন হয়ে পড়তো। এর কারণে সম্রাট আকবর আমীর ফতেহুল্লাহ সিরাজীকে দায়িত্ব দেন এর একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। আমীর ফতেহুল্লাহ সিরাজী সাহেব চিন্তা করে এবং গণনা করে যে সনটি উদ্ভাবন করেন তাই-ই বর্তমানে বাংলা সন। ইতিহাসের আরো কিছু বাকি থাকলেও তাতে ঝাঁকজমক ভাবে পালন করার মতো কিছু নেই।
প্রতি বছর যেভাবে পালন করা হয় এ দিনটি তাতে মুসলিম অংশের থেকে মুসলিম পরিপন্থীই বেশি। দিনের শুরুতেই রবি ঠাকুরের গান বেজে উঠে, রমনার বটমূলে চলে নাচ গান, কোন এর স্থান হতে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা, দিনব্যাপী চলে যুবক যুবতী আর তরুণ তরুণীর মাখামাখি।
এগুলো কি আমাদের সংস্কৃতি নাকি অপসংস্কৃতি?
উত্তরটা একজন মুসলমান হিসেবে নিজেই ভাবুন।
বইঃ অপসংস্কৃতির বিভীষিকা...