এই না না!
প্লিজ কোথথাও যাব না।
আমার গলা থেকে ছুড়ি টা নামাও প্লিজ!!
- কেন আমায় ভয় লাগছে?
ছুড়ি টা টেনে দেই গলায়।
(পুজা) - আমি আপনার সব কথা শুনবো প্লিজ ছুড়ি টা নামান গলা থেকে।
- কেন নামাবো ছুড়ি হুহ কেনো?
তুই আমায় ধাক্কা মারছিস,
আমার কপাল ফাটাছিস,
আমার প্রিয় ফুসকা খেয়েছিস তোকে ছাড়ছি না। - আমার ভুল হয়ে গেছে, আর এমন করব না?
- এখন এতো ভালো করে কথা বলছিস কেনো??
- তোমার মতো গুন্ডির সাথে যে কেউ ভালো করে কথা বলবে।
- কি বললি তুই?
আমি গুন্ডি?
তোরে দিলাম ছুড়ি টেনে। - এই না না ভুলে বলে ফেলেছি গুন্ডি না।
একটা লাল পরী!!!
যাক বাবা লাল পরী বলে বেচে গেলাম। এতক্ষনে গলা থেকে ছুড়ি টা নামালো।
কি মেয়ে রে ভাই গাড়ির মধ্যে কেউ এমন করে।
যদি ছুড়ি টা টেনে দিতো তাহলে তো আমিই শেষ।
আর কোন দুস্টুমি করা যাবে না কারণ দুস্টূমি করলে খুন হওয়ার চান্স আছে। তারপর কনের বাড়িতে এসে পড়লাম, বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। বিয়ের আয়োজন চলছে আর আমি বিয়ে বাড়িতে সুন্দরীদের দেখছি। - এই তুই ঐ মেয়েটাকে চোখ মারলি কেনো? (পুজা)
- আমার চোখ আমার ইচ্ছে আমি মারতেই পারি আপনি বাধা দেওয়ার কে??
- না তুই চোখ মারবি না?
আর একবার যদি কোন মেয়েকে চোখ মারিস তাহলে তোর চোখ তুলে ফেলব?? - আজব তো কে আপনি?
আর আমার পারসোনাল বিষয়ে কথা বলছেন কেন?
আমি যদি আপনাকে চোখ মারতাম তাহলে কথা ছিলো। - ঠাসসসসসসসসস, তুই আবার আমার মুখের উপর কথা বলতেছিস। আর তুই যে মেয়েটাকে চোখ মেরেছিস ও আমার মামাতো বোন।
- তাই বলে বিয়ে বাড়িতে আবার থাপ্পর দিবেন।
- উল্টা পাল্টা কাজ করলে থাপ্পর দিবো না তো কি আদর করব?
- পুরাই গুন্ডি.....?
- ঐ তুই কি বল্লি আমি গুন্ডি?
দাড়া দেখাচ্ছি।
ভাই আর কিছু না বলে দিছি দৌড়। ধরতে পারলে আবার থাপ্পর দিতো সিওর।
ইসস কত্ত ইচ্ছা ছিলো ২৭
নাম্বার টা ম্যানেজ করার কিন্তু
এই পুজার জন্য কিচ্ছু হলো না।
অথচ পালিয়ে আসলাম বিয়ে
বাড়ি থেকে।।
না আর বিয়ে বাড়ি
যাব না।
ওখানে গেলেই ওই পুজার অত্যাচার শুরু হয়ে যাবে তারচেয়ে
আজ রাতটা এই অচেনা জায়গায়
পার করে দেই।
আর ফোনটাও
বন্ধ করতে হবে নাহলে
সবাই কল করে বিরক্ত করতে
পারে।
সকাল ৮ টায় আবার বিয়ে
বাড়িতে গেলাম আর গিয়ে দেখছি
আমার মা আর পুজা কাদতেছে।
কি আজব কাহিনি রে ভাই
কন্যা বিদায়ের সময় মেয়ে আর
মেয়ের পরিবার কান্না করে
আর আজ আমি এসব কি
দেখতেছি।
আমার পরিবার কান্না
করতেছে কেনো??
আমাকে পুজা দেখা মাত্রই আমার
সামনে এসেই...... - ঠাসসসসস! ঠাসসসসসসস..........!
- ওই আপনি কি আমার গাল দুটো কিনে নিয়েছেন?
যে কথায় শুধু থাপ্পর মারেন?? - তুই সারারাত কোথায় ছিলি?
তোর ফোন বন্ধ কেনো ছিলো? - আমার ফোন বন্ধ ছিলো তাতে আপনার কি??
- আমার অনেক কিছুই??
তুই এখন থেকে আমার সাথে সাথে থাকবি - কেন আপনার সাথে সাথে
থাকব কেন? - যা বলছি তাই করবি?
নাহলে খুন করে ফেলব তোরে...
আচ্ছা ঠি ঠি ঠিক আছে।
আর কি করার ভদ্র ছেলের মত পুজার কথায় রাজি হলাম।
এখন কারনটা বুঝতে পারছি।
কেন মা আর পুজা কান্না করেছে আমার ফোন বন্ধ ছিলো আর আমি ও বিয়ে বাড়িতে ছিলাম
না তাই।
বিয়ে শেষ আমরা আবার গাড়িতে উঠে বসালাম।
পুজা আবারো ঠিক আমার পাশে এসে বসলো কিন্তু এবার হাতে ছুরি নাই তাই একটু ভালো লাগছে। - ওই পুজা কি করছেন এসব?
আমার কাধে মাথা রাখছেন কেনো??(আমি)
আমার রাতে ঘুম হয়নি তাই।
এখন ঘুমাব।(পুজা) - ঘুমাবেন তো ভালো কথা তাই বলে আমার কাধটা কি বালিশ পেয়েছেন নাকি?
- ওই তুই চুপ থাকবি না কি??
- আউউউউউউউউউউ, ওই আপনি আমারে চিমটি কাটলেন কেন?
তুই কাধ থেকে আমার মাথা সরালি কেনো?? - তাই বলে এত্তজোরে চিমটি দিবেন??
- আর একবার যদি আমার মাথা
তোর কাধ থেকে সরাস তাহলে আরো জোড়ে চিমটি মারব বলে দিলাম?? - এই না না না ঠিক আছে আপনি
আমার কাধে যতখুশি মাথা রাখেন
আমি আর কিচ্ছু বলব না। - হুম এইতো গুড বয়।
পুজা ওর হাত দিয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
আর ওর চুল গুলো বাতাসে উড়ে এসে
আমার মুখের উপর পড়ছে।
আমি
ঘুমন্ত অবস্তায় পুজার দিকে একবার
চোখ ফিরে তাকালাম,
পুজাকে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে।
ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েদের
এতো সুন্দর লাগে আগে জানা
ছিলো না।
সত্যি বলতে কি আমি ওর প্রেমে পড়ে গেছি।
কিন্তু এই কথা ওকে বললে আমার রক্ষা নেই। - এই যে উঠুন আমরা আমাদের জায়গায় চলে এসেছি??
(আমি) - উমমমমমমমম....? (পুজা)
- হইছে অনেক ঘুমাইছেন এবার উঠুন।
- আর একটু ঘুমাই না প্লিজ।
তোমার কাধে মাথা রেখে অনেক ঘুম পাচ্ছে। - আরে কি আজব।
উঠুন বলছি এসে গেছি তো?
-............?
পুজার মাথা আমার কাধ থেকে সরিয়ে
চলে আসলাম।
আর এসেই ব্যাগ গুছাতে লাগলাম কারন এখানে আর থাকা সম্ভব না।
তাই ব্যাগ গুছানো শেষ করে ব্যাগ নিয়ে আমার বাসায় চলে আসলাম কাউকে না বলেই।
দুইদিন পর ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।
কিছু ভালো লাগতেছে না।
পুজাকে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে। আমি ওকে সত্যি সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছি।
কিছুক্ষ্ণ পর কারো পায়ের নুপুরের শব্দ পেলাম,
পিছনে ফিরেই দেখি পুজা
আসতেছে আমার দিকে।
দেখে মনে
হচ্ছে অনেক কেঁদেছে আর প্রচন্ড রেগে আছে।
আর এসেই.......... - ঠাসসস, ঠাসসসস, তোকে না আমি
বলছি তুই আমার সাথে সাথে থাকবি কখন ও আমার পিছু ছারবি না।
তাহলে না বলে কেনো চলে এসেছিস??(কেদে কেদে বলছে)
-...................? (আমিও কেদে ফেলেছি) - কি হলো কথা ব্ ঠাসসস।
চুপ করে আছিস কেনো, ঠাসসস!
-...............?
আমাকে জরিয়ে ধরে বলছে.. - আই লাভ ইউ নিলয়,
তোকে অনেক ভালোবাসি।
তুই কেনো আমাকে বুঝিস নি। - আমি তোমাকে ভালোবাসি না পুজা।
তবে ভালবাসতে পারি, একটা শর্তে?? - কি...?
- এতদিন থেকে যতগুলা থাপ্পর দিছো
এখন ততগুলো পাপ্পি দিতে হবে।
বলেই দিছি দৌড় - ওরে!
শয়তান একটা, কাছে আয় বলছি? - না কাছে গেলে আবার থাপ্পর মারবা।
- না আর থাপ্পর দিব না।
- না আমি যাবো না তুমি আবার....?
- ওই তুই কাছে আসবি কি না? (রেগে)
- এইতো আসছি।
- চল..।
- কোথায়???
- বিয়ে করব।
- কি বলো এসব?
- হুম আজকেই বিয়ে করব।
অতপর বিয়েটা করেই ফেললাম।
আজ বাসর রাত - এই তুমি এতদুরে বসে আছো কেন? কাছে আসো?
- না কাছে যাব না।
- আসো বলছি....?
- এই আসছি এবার হইছে?
- উম্মমাহহহহহ, উম্মাহহহহ, উম্মমাহ, উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ,
- এই করছো কি পাপ্পি দিতে দিতে
মেরে ফেলবা নাকি আমাকে? - কি বলছিস মনে নাই... উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ,,
,
আপনারা এখন ও এখানে আছেন?
দেখছেন না আমার পাগলীটা পাপ্পি দিচ্ছে?
এখন যান,
পাপ্পি শেষে আগামীকাল আইসেন।
Hi, I just followed you :-)
Follow back and we can help each other succeed! @hatu