একটি মা মাকড়সার দুর্ভিসহ জীবন-যাপন, তার অনাগত সন্তানদের পৃথীবির আলো দেখানোর জন্য।..🤱🤱🤱
ফেসবুকে তো অযথা কত সময় নষ্ট করেন, কিন্তু অনুরোধ রইলো একটু টাইম নষ্ট করে হলেও পুরা পোষ্টিটি পড়বেন,কথা দিচ্ছি খারাপ লাগবে না....
আমার গল্পের শুরুটা একটা মাকড়সাকে নিয়ে.
আমরা সবাই নিশ্চয়ই মাকড়সা চিনি এবং হয়তো সবাই দেখেছিও।
আসুন আমরা পুরা গল্পটা পড়ি....
কাল রাতে আমি একটুও গুমাতে পারিনি. সকাল ৫ টার দিকে একটু গুমালাম. সকাল ৯ টাই আমার গায়ের উপর একটু সুড়সুড়ি অনুভব করলাম এবং সাথে সাথেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
চোখ খুলে দেখলাম আমার গায়ের উপর একটি মাকড়সা হাঁটাহাঁটি করছে। আরেকটু চোখ খুলে দেখতেই বুজলাম এটি একটি মা মাকড়সা এবং উনার পেটভর্তি ডিম্. তারপর ভালো করে দেখার পর বুঝলাম ডিমগুলা আর দিমে নাই, সেগুলা বাচ্চা তে রূপান্তর হইয়া গেছে মাকড়সাটির পেটের ভিতরেই. হয়তো একসাথে এতগুলা বাচ্চা নিয়ে মাকড়সাটি দৌড়াতে কিংবা চলাফেরা করতে পারছে না ঠিকভাবে.... আমি কিছুক্ষন চুপচাপ দেখেই ছিলাম মাকড়সাটির আচরণ..... মাকড়সাটির কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম।তবু সেটিকে ধরার চেষ্টা করতেই মাকড়সাটি আমাকে ফাঁকি দিয়া দৌড়ে নিচে নেমে গেলো খাট বেয়ে..
আমি আরেকবার চেষ্টা করলাম ধরতে কিন্তু এইবার ও ব্যর্থ হলাম.. কিন্তু অভাক হইয়া দেখলাম দৌড়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে মা মাকড়সাটির, তবু সেটি প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে আমার হাত থেকে তার বাচ্চাগুলাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য... মাকড়সাটি ভাবছে আমার হাতে পড়লে নিশ্চই তাকে এবং তার বাচ্চাগুলাকে আমি মেরে ফেলবো। কিন্তু আমি যে শুধু তাকে বাঁচানোর জন্যই ধরার চেষ্টা করছিলাম সেটা বুঝার মতো শক্তি এই প্রাণীকুলের অবুঝ প্রাণীটির নেই....
যাহোক, আমি শত চেষ্টা করে ও পরাস্ত হলাম ওটাকে ধরতে। কিন্তু সেই সকাল থেকে এই বিষয়টি নিয়ে এখনো আমার মনটা অনেক খারাপ। হঠাৎ মনের মধ্যে অনেক অনেক প্রশ্ন গুড়পাক করছিলো মাকড়সাটির ঘটনাটি নিয়ে... মনে মনে ভাবলাম এই বিষয়টি নিয়ে একটা পোস্ট লিখবো এখনি সবার উদ্দোশ্যে।...
আমরা ছোটবেলা থেকে শুনেছি যে একটি মা মাকড়সা তার সন্তানদের পৃথীবির আলোতে নিয়ে আসার জন্য নিজের জীবনটাও উৎসর্গ করে দেন... সেটা কিভাবে? হয়তো আমরা সেই গল্পটা সবাই জানি. তবু এখানে আবার উল্লেখ করলাম- মাকড়সার পেটে যখন ডিম্ আসে তখন মাকড়সাটি অনেক খুশি হন, আস্তে আস্তে ডিমগুলা বড় হতে থাকে এবং একসময় সেই ডিমগুলো বাচ্চাতে রূপান্তর হয়... বাচ্চাগুলা মা মাকড়সার পেটের ভিতরেই বড় হতে থাকে এবং আস্তে আস্তে মা মাকড়সার পেটটি ফুলতে ফুলতে অনেক বড় হইয়া মাকড়সার শরীর থেকেও পেটের আকারটা অনেক বড়ো হইয়া যাই. এতো গুলা বাচ্চাকে একসাথে পেটে রেখে তাদের খাবার এর যোগান দেওয়া মা মাকড়সাটির সম্ববপর হয় না এবং মাকড়সাটি তার পেট থেকে বাচ্চাগুলাকে বাইরেও নিয়ে আস্তে পারে না তার সীমাবদ্বতার কারণে....
একটি মা মাকড়সার দুর্ভিসহ জীবন-যাপন, তার অনাগত সন্তানদের পৃথীবির আলো দেখানোর জন্য।
আমরা সবাই নিশ্চয়ই মাকড়সা চিনি এবং হয়তো সবাই দেখেছিও। কাল রাতে আমি একটুও গুমাতে পারিনি. সকাল ৫ টার দিকে একটু গুমালাম. সকাল ৯ টাই আমার গায়ের উপর একটু সুড়সুড়ি অনুভব করলাম এবং সাথে সাথেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
এভাবে খাবারের অভাবে বাচ্চাগুলা আস্তে আস্তে তাদের মা মাকড়সাটিকে খেতে খেতে একসময় পৃথীবির আলোতে নিজেদের আবিষ্কার করে এবং খুশিতে মাকড়সাটির বাচ্চাগুলা হু হু করে দৌড়া দৌড়ি করতে থাকে.... সেই দৃশ্যটা হয়তো আমরা অনেকেই দেখেছি।একসময় বাচ্চাগুলা দৌড়া দৌড়ি শেষে নিজেদেরকে এতিম হিসেবে আবিষ্কার করে এই পৃথীবিতে। মায়ের স্নেহ মমতা থেকে ওরা বঞ্চিত হয় ছোটবেলাতেই এবং মাকড়শাটির দুঃখ তার নিজের সন্তানদের একনজর দেখতে না পাওয়া, কারণ তার সন্তানদের সুস্থ ভাবে পৃথিবিতে আনার জন্য তার জীবনটা উৎসর্গ করতে হলো....
পৃথিবির এমন নিষ্ঠুর আচরণ কিংবা সৃষ্টির এমন অদ্ভুদ সমীকরণ এই প্রাণিজগতের মধ্যে আর কোনো প্রাণীর করতে হয় বলে আমার মনে হয় না. মা মাকড়সাটির এমন কষ্ট আমার মনকে সত্যি এতটা আবেগিত করে তুললো সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো ক্ষমতা আমায় নেই......
সকালে মাকড়সার ঘটনাটি আমার মন কে বিষন্নতায় আচ্ছন্ন করে রাখলো সারাক্ষন, সকালে ব্রেকফাস্ট করতে ইচ্ছে করেনি, তাই এখনো কিছু খাওয়া হয়নি.... মাকড়সাটির কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার মা এর মুখটি বারবার আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো. হঠাৎ বুকের মাঝখানে অনেক ব্যথা অনুভব করছি আমার মায়ের জন্য. মনে হচ্ছে আমার মা-কে এবং এই পৃথিবির সব মা-কেই এমন কষ্ট অনুভব করতে হয় মাকড়সাটির মতো করেই.
কিন্তু আমাদের কপাল অনেক ভালো যে আমাদের উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকাতে আমাদের মাকে আমাদের মাঝে ফিরে পাই জন্মের পর থেকেই. তবু এখনো সন্তান জন্ম দিতে যাইয়া অনেক মাকে মাকড়শার মতোই জীবন উৎসর্গ করতে হয় সন্তানকে পৃথিবির আলো দেখানোর জন্য.
কিন্তু একটা বার চিন্তা করুন এভাবে-" দরুন আমরা এখনো সেই আদিম যুগে বাস করছি, যেখানে মানুষ চিকিৎসা বিজ্ঞান সমন্ধে কোনো ধারণাই রাখে না এবং ধাত্রীও নাই যে মায়ের পেট থেকে সন্তানকে বার করার জন্য কিংবা অদৃশ্য কোনো শক্তির ইশারাই ও কাজ না হতো তাহলে আমাদের সব মাকেও মাকড়শার মতোই তাদের জীবন উৎসর্গ করতে হতো সন্তান জন্ম দিতে জিয়া.. আমরাও হয়তো মাকড়সার বাচ্চা গুলা মতো করে আমাদের মায়ের শরীর থেকে সবকিছু চুষে নিতে নিতে একসময় পুরাই নিঃশেষ করে ফেলতাম মাকড়সার বাচ্চা গুলা মতো করে....
কিন্তু আমরা অনেক অনেক লাকি যে আমরা জন্মের পর থেকে আমাদের এমন করতে হয় না এবং আমরাও জন্মের পর থেকে আমাদের মায়ের স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত হয় না.....তবু এখনো কিছু কিছু মানুষ আছে জন্মের সময় তাদের মা কে হারিয়ে মমতাময়ী মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়....
এখন এই পোস্টের সারমর্ম নিয়ে কিছু কথা বলা যাক, আশা করি কেও আমায় ভুল বুজবেন না। ...
আজকাল আমাদের সমাজে অহরহ দেখা যাই ছেলে মেয়ে বড়ো হইয়া তাদের মা বাবা কে কষ্ট দেন,, বিশেষ করে ছেলেদের কথা না বললেই নয়.... ছেলেরা বড় হইয়া মাকে কষ্ট দেয় কিংবা অনেক ছেলেকেই দেখা যাই বিয়ের পর বউ কে নিয়ে আলাদা থাকতে তাদের মা বাবাকে ছেড়ে...
অনেকেই আবার মা বাবা কে বৃদ্বাশ্রমে রেখে আসে তাদের বউকে নিয়ে আলাদা থাকার জন্য... আমাদের দেশে দেখা যাই মা এর আগে বাবা চলে যান পৃথিবি ছেড়ে, তখন মা হইয়া যান পুরা একা এবং সন্তানের উপর নির্ভশীল হওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও থাকে না তখন...
সেইসব মায়েরাই তাদের ছেলে এবং ছেলের বউদের কাছে সব চেয়ে বেশি বোঝা হইয়া যাই..... ছেলে কিংবা ছেলের বউয়ের অবহেলা দিনের পর দিন তাদের সইতে হয়, অনেক সময় সেই সুযোগ হয় না অনেক মায়ের কপালে.... কারণ তার জন্ম দেওয়া ছেলেই তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে পাষানের মতো..
তখন মায়ের চোখে অস্রু ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না.কারণ কোনো মা চাই না তার সন্তানের নামে কারো কাছে অভিযোগ করার.... অনেক সময় দেখা যাই ছেলেটি তার বউয়ের কাছে অসহায় হইয়া তার মাকে বৃদ্বাশ্রমে কিংবা মাকে অবহেলা করতে বাধ্য হন. অনেক ছেলেকে সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতেও দেখা যাই অন্যদের কাছে.....
কিন্তু তাও এইসব ছেলেরা তাদের পাপ থেকে মুক্তি পাবেন না এমন আচরণ করলে তাদের মায়ের উপর...
এখন বর্তমান সমাজের মেয়েদের নিয়ে কিছু না বললেই লেখাটি সম্পর্ণ হবে না... আমরা অনেক মেয়েকে দেখি তারা তাদের শাশুড়িকে খুব একটা দেখতে পারেন না, শাশুড়িকে উল্টা বোঝা মনে করে এবং বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দেখা যাই কিছু মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আলাদা হইয়া যেতে। তাদের উদ্দোশ্যে বলা- " একটা বার ভাবুন আপনিও একদিন সন্তানের মা হবেন এবং আপনাকেও একদিন আপনার শাশুড়ির জায়গায় আসতে হবে আপনার ছেলেকে বিয়ে করানোর পর তখন যদি আপনার ছেলের বউও আপনার মতো একই কাজ করেন তখন আপনি সইতে পারবেন তো???....
শুরুতেই মাকড়শার গল্প থেকে শুরু করে পুরা গল্পটি নাটকের মতো করে দৃশ্যটি নিজের মনের ভিতর বাস্তব আকারে কল্পনা করুন তখন নিজে থেকে অনেক কিছু উপলব্দি করতে পারবেন.....
বিঃ দ্রঃ- এই পোস্টটি পরে যদি একটা ছেলে কিংবা মেয়ে ও যদি তাদের মায়ের প্রতি যত্নশীল হন তখনি আমার লেখনী সার্থক হবে... পোষ্টিটি আপনাদের টাইম-লাইন এ শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন যেন তারাও তাদের মা বাবার প্রতি অবহেলা থেকে বিরত থাকতে পারে এবং আপনাদের টাইম-লাইন এ সেভ করে রাখুন যাতে আপনার সন্তানকে এই পোস্টটি দেখিয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। যাহোক, আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু????
photo:- courtesy of online..
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.nhl.com/player/evgeny-kuznetsov-8475744
Are you mad???