স্বাধীনতা দিবসের সকালবেলাতেই যে তথ্যটা আপনার জানা উচিত,তা হল ধর্মনিরপেক্ষতাব
াদ,গণতন্ত্র,বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র,এই চারটি জিনিস,যেগুলোকে সেই ১৯৭২ সালের সংবিধান থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মুলনীতি বলে প্রচার করা হয়,তার কোনটাই মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল না।বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর বেসিক কজ ছিল,গণতন্ত্রের অভাব মুক্তিযুদ্ধ শুরুর একটা আন্ডারলাইয়িং কজ ছিল,কিন্তু সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোন সম্পর্কই ছিল না।
মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের কোথাও সেক্যুলারিজমের কথা বলা হয় নাই।সমাজতন্ত্রের লেশমাত্রও সেখানে নাই।
দিস পয়েন্ট ইজ ভাইটাল।
মুক্তিযুদ্ধ করেছে সাধারন মানুষ।এই ২০১৮ সালে এসেও দেশের অন্তত আশিভাগ মানুষ জানে না সেক্যুলারিজম আসলে কি জিনিস,কমিউনিজম কি জিনিস,আর দেশের সেক্যুলার এলিট এবং মিডিয়া জায়ান্টরা আমাদের বয়ান দেয়,১৯৭১ সালে মানুষ এসবের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
এগুলা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা।এই মিথ্যা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বামরা আমাদের স্বাধীনতার ঠিকাদারি দাবি করতে চায়,যার কোন অধিকার তাদের নাই।
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ইনসাফের অভাব,পাকিস্তানীদের মাথামোটা নীতি,ভারতের
গোয়েন্দাগিরি,আমাদের নেতাদের ধান্দাবাজি এবং ২৫শে মার্চ রাতের ঘৃণ্য গণহত্যার ফসল হিসেবে।এই সবগুলো আন্ডারলাইয়িং কজের গোড়ায় যে বেসিক কজ ছিল,তা হল পাকিস্তান রাষ্ট্র যে ইসলামের কথা বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল,সেই ইসলামকে তারা বাস্তবায়ন করে নাই।ইসলামকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে গ্রহন না করে তারা বেছে নিয়েছিল পুজিবাদকে।
আমরা এই বেইনসাফি মানি নাই।শেষমেশ তা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে গড়িয়েছে।উপমহাদেশের অপর দুই রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান জন্মেছে আলোচনার টেবিলে,আর বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে যুদ্ধের ময়দানে।
কিন্তু আফসোস,এত রক্ত দিয়েও আমরা যে ইনসাফ কায়েমের জন্য দেশ স্বাধীন করেছি,সেই ইনসাফ পাই নাই।দেশের ৯৫% সম্পদ এখন ৫% মানুষের হাতে,আর বাকি ৫% সম্পদের জন্য কাড়াকাড়ি করে ৯৫% সাধারন মানুষ।
অর্থাৎ,যেই লাউ,সেই কদু।একটা পতাকা পেয়েছি,দেশের নাম বদলেছে,কিন্তু সাধারন মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নাই।
আমাদের আগামীর লড়াই,দেশে ইনসাফ কায়েম করার লড়াই।
বাংলাদেশের মানুষ এখন ভালমতই বোঝে,প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকাংশেরই এই ইনসাফ কায়েমের কোন প্রকার উদ্দেশ্য নাই,তারা কেবল ব্রিটিশ আর পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া সেই কলোনিয়াল রাষ্ট্র কাঠামো বজায় রেখে নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়াটা নিশ্চিত করতে পারলেই খুশি।রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাই দেশের সাধারন মানুষ এখন আর আগের মত উৎসাহী না।
আমি নিশ্চিত,বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন এমন একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য অপেক্ষা করছে,যারা দেশে ইনসাফ কায়েম করতে চায়।
এর বাইরে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ,বাংল
াদেশী জাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র,সমাজতন্ত্র
,পুজিবাদ বা আর কোন কিছুতেই জনগনের আগ্রহ নাই।
Thanks for using #artzone tag! Artzone can give just one upvote per day!
Hello! I find your post valuable for the wafrica community! Thanks for the great post! @wafrica is now following you! ALWAYs follow @wafrica and use the wafrica tag!