watercolor on paper
এটা আমার ক্যাম্পাস আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রী হলেও আমাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় মূল ভূখন্ড থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহর এর ভিতরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন চারুকলা বিভাগ শুরু হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয় মূল ভূখণ্ডে চারুকলার অবস্থান থাকলেও ২০১০ সালে চট্টগ্রাম আর্ট কলেজ স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগকে স্থানান্তর করে শহরে আনা হয়।যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নেই কোনো ডাইনিং এবং হলে থাকবার সুব্যবস্থা। বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় ছাত্র-ছাত্রী এবং শহরে থাকা ব্যায়বহুল।বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা।
এ সকল বিষয় প্রশাসন অবগত থাকলেও সমাধানের ছিলনা কোন সৎ উদ্যোগ।
এগুলো দৃশ্যমান সমস্যার যেগুলো চেষ্টা করলে সমাধান করা যেত।চারুকলা শহরে থাকার কারণে না ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ না তৈরি করতে পারলো চট্টগ্রাম শহরের সাথে সম্পৃক্ততা।যার ফলে চারুকলা চর্চা যে প্রসার হতে পারতো সেটা কিছুই হলো না।
এসকল সমস্যার কারনে শুরু হয় আন্দোলন।আন্দোলনের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরতে চাইলেও শিক্ষকরা ফিরতে নারাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ছিল শহরে একটা জায়গা। শিক্ষকদের প্রয়োজন ছিল শহুরে জীবন বা নাগরিক সুবিধা। এখানে শিক্ষার্থীরা শহর এর জায়গা দখল করার উদ্দেশ্য মাত্র।যদি তারা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করত গত ১০ বছরে চারুকলা এ অবস্থা হয়তো দেখতে হতো না।
এটা ছিল একটা ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণী মাত্র।বিশ্ববিদ্যালয় এমন অনেক বিষয় আছে যা সরাসরি শিক্ষকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
source
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের থেকেও শিক্ষকরা দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ,গবেষণা এবং জ্ঞানচর্চার প্রসারে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম।যেখানে উন্নত বিশ্ব উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চেয়ার নিয়ে ব্যস্ত।কে কাকে ছাড়িয়ে বড় চেয়ারে বসতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের করা সে এক মরীচিকা মাত্র।
আমিও এটাই ভাবতেছিলাম।
চবি তে গিয়েছিলাম ২০১৯ এ, শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও আমার সবচেয়ে বেস্ট অভিজ্ঞতা ছিল সেখানে।
সাটলে করে যাওয়া, এত বড় এড়িয়ার এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো। বন্ধুবান্ধব ও বড় ভাইয়া-আপুদের মতে ৪ দিন থেকেও নাকি আমার চবির অনেক কিছু দেখা ও উপভোগ করা বাকি।
হ্যাঁ, শহরে থেকে কিছু সুযোগ-সুবিধা হয়তো পাচ্ছেন কিন্তু তারচেয়ে বেশিই হয়তো মিস করে যাচ্ছেন।
ফিরে যাবার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি ভাই এখনো।
বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আন্দোলন স্তিমিত করে দিলো।
আর ক্যাম্পাস করে দিলো বন্ধ।
এসব আন্দোলনে হল/ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হাতিয়ার।
হ্যাঁ সেটাই ভাই।
আর এভাবেই আন্দোলন মেরে ফেলা হয়।