ভ্রমনের খাতায় যুক্ত হলো আরেকটি অধ্যায়। এবার আমরা জয় করেছি চন্দ্রনাথ পাহাড়৷ ১০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট এই পাহাড় দেশের অন্যতম পর্যটনস্থান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমনপিপাসুরা প্রতিনিয়ত ছুটে আসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত চচন্দ্রনাথ পাহাড়ে। সীতাকুণ্ডের সুবিশাল পাহাড় সমগ্র দেখে যেকোন মানুষকেই মুগ্ধ হবে৷
পাহাড়ের টানে এবার আমরাও ছুটে গিয়েছিলাম পাহাড়ের বুকে৷ স্বপ্ন ছিলো চন্দ্রনাথ পাহাড় জয় করবো। ২০১৮ সালে কলেজের বন্ধুরা মিলে একবার ঘুরতে এসেছিলাম এই জায়গাতে। তবে পাহাড় চড়ার ক্লান্তি সেবার আমাকে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছাতে দেয়নি। বন্ধুরা সবাই চন্দ্রনাথ পাহাড় জয়ে করলেও আমি ছিলাম একমাত্র ব্যর্থ পাহাড় প্রেমিক।
সেই ব্যর্থতাকে পূর্ণতা দিতে আবারো চন্দ্রনাথের বুকে ফিরে আশা৷ সময়ের সাথে সাথে এবার বদলেছে পরিস্থিতিও। সব ধরনের পরিকল্পনা কষেই যাত্রা শুরু হয়েছিলো ঢাকা থেকে। বাস জার্নির ক্লান্তি এরাতে ট্রেনে ভ্রমন করা। খুব সকালেই আমরা পৌছে যাই কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনে। আমাদের পরিকল্পনার প্রথমেই ছিলো চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চড়া। সেখানে ফ্রেশ হয়ে সিনএনজিতে করে রওনা হয়ে যাই চন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে।
একঘন্টা সিএনজি ভ্রমন শেষে সকাল ৭ টায় আমরা পৌছে যাই পাহাড়ের পাদদেশে। সেখানেই সকালের নাস্তাটাও সেরে ফেলি। সকাল বেলা পাহাড়ে চড়ার সুবিধার্তে আগেভাগেই সকল প্রস্তুতি সেরে ৭.৩০ মিনিটে শুরু হয় আমাদের পথচলা। আমাদের সঙ্গী একটি বাশের লাঠি আর কয়েক বোতল স্যালাইনসহ খাবার পানি। গুটি গুটি পায়ে এগুতে থাকি আমরা। শুরুতে পাহাড়ের চূড়া কাছাকাছি মনে হলেও তা ভুল প্রমানিত হয় সময়ের পরিবর্তনে।
কিছুটা পথ পার হতেই হাপিয়ে পরে সবাই। তবে আজ তো আর হাল ছেড়ে দেওয়া যাবেনা। পাহাড়ি ফলমূল আর পানি খেয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে এগুতে থাকি আমরা। একঘন্টা পর নিচের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারি আমরা অনেকটা উচুটে চলে এসছি, তবে এখনো অনেক পথ বাকি। তার মধ্যে বিপত্তি ঘটে বন্ধু সৌরভের অসুস্থতায়৷ হাই স্ট্রেসের কারনে তার পেটে আবারো সেই পুরোনো সমস্যা। কিছুক্ষন তাকে সুস্থ করে তোলার চে চেষ্ঠা করেও শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই আবারো শুরু হয়ে আমাদের পথভচলা।
তার কিছুক্ষন পরেই প্রথম পাহারের শীর্ষে পৌছে যাই আমরা। প্রাকৃতিক সোন্দর্য আর সময়টাকে স্মৃতিময় করে রাখতে কিছুক্ষন চলে আমাদের ছবি তোলার পর্ব। তার কিছুক্ষন পরেই আমরা পৌছে যাই চন্দ্রনাথের সর্বোচ্চ চূরায়৷
১০০০ ফুট উপর থেকে পুরো চট্রগ্রাম শহটাকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ হয়েছিলো। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। দূরে সারটাকেও দেখা যাচ্ছিলো একদম স্পষ্ট। প্রাকৃতিক সোন্দর্যটাকে কিছুক্ষন উপভোগ করার পর নামতে শুরু করে দেই সবাই। উচু উচু সিরি বেয়ে নামতে নামতে বেলা বেজে ১০.২০ মিনিট। এখেনেই শেষ হয় আমাদের চন্দ্রনাথ জয়ের পর্ব।
বাহ! ক্যাপচারগুলা অনেক সুন্দর হইছে
ধন্যবাদ আপু 😍।
পাহাড় বরাবরই আমার অন্যতম আকর্ষণ কারণ এর সৌন্দর্য আমাকে বারবারই বিমোহিত করে। এটা আমার ব্যর্থতা যে চট্টগ্রামে থেকেও আমি চন্দ্রনাথ পাহাড় এখনো ভ্রমণ করতে পারিনি। গতকালকে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু অনেকেই তাদের নানা ব্যস্ততার কারণে যেতে চাইনি এবং মানুষের সংখ্যা খুবই কম হয়ে গিয়েছিল যার কারণে আমাদের প্ল্যানটার সাকসেসফুল হল না।
সামনে সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবেন 🙂
অনেক সুন্দর জায়গায়টা 😍
হা! সেই 🖤