ঢাকা আমার কাছে খাদ্যের স্বর্গ ।এই ব্যাপারটা আগে উপল্বধি করতাম না , ঢাকার বাহিরে থেকে ইদানিং খুব করে উপলব্ধি করতে পারছি।
গতকাল ছিল আমার ছোট বোনের জন্মদিন । বাসায় খুব বড় করে কিছু হয়নি বিধায় কিছু একটা করা দরকার ছিল । বিকেলের দিকে গেলাম খানাস এ । মিরপুর ব্রাঞ্চ এ । আসলে ঢাকা আসলে একবার হলেও খানাস এ ঢু মারিই ।
খেয়েছি আমার পছন্দের কিছু জিনিস । আসলে খানাস নিয়ে রিভিউ দেওয়ার কিছু নেই , আমার ভালো লাগার জায়গা সমূহের একটি জায়গা হলো খানাস ।
ট্রাফেল উইংস। খানাস এর ট্রাফেল উইংস হলো আমার পছন্দের অন্যতম একটা খাবার ।রাজশাহীতে থাকলে প্রায়ই এই খাবারটা আমার অনেক মনে পরে ! ক্রিস্পি আর জুসির যুগে এইটার স্বাদ বর্ণনা করার জন্য একটা শব্দ আমার কাছে আছে , তা হলো "তৃপ্তি"
হট ফ্রাইস। হট ফ্রাইস এর থেকে এদের মেয়োনেজ আমার পছন্দের ।আমি হট ফ্রাইস দিয়ে মেয়োনেজ খাইনা , মেয়োনেজ দিয়ে হট ফ্রাইস খাই !
চকো কোল্ড কফি। চাঙ্গা করে দেওয়ার জন্য এর একটা সিপ ই যথেষ্ট । এদের সকল শেকের থেকে এই চকো কোল্ড কফিটা আমার বরাবরই পছন্দের । এরা কফি , চকলেট আর বরফের একটা বেলেন্স মেন্টেন করে যা একে "শান্তির আহার" হিসেবে করে তুলে ।
এদের নতুন এক রিফ্রেশিং ড্রিংক হলো লেমনেন্ড টাইপের ড্রিংক । এটা আসলেই অনেক রিফ্রেশিং । যদিও বরফের পরিমাণ অতিরিক্ত ছিলো কিন্তু স্বাদ ভালো ছিল ।
আর আমি কোথাও যাবো আর কোকা কোলা থাকবেনা , তা কি হয় !!
বরাবরের মতন খানাস কাটানো সময় এবং খাবার আমার ভালোই লেগেছে । এদের এম্বিয়েন্সটাও অনেক ভালো । বন্ধুদের সাথে আড্ডা কিংবা ফ্যামিলি আউটিং উভয়র জন্য এই জায়গাটা অনেক ভালো ।
আর ঢাকা তো আমার কাছে খাদ্যের স্বর্গ । একাডেমিক প্রেশার কাটিয়ে সময় পেলেই ঢু মেরে যাই এই শহরে ।আপন মানুষের সাথে দেখা হয় আবার খাদ্যের সাথেও ! আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি ,এই লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , আবার আসবো নতুন কোনো লেখা নিয়ে , আশা করছি ভালো থাকবেন ।
খানাস মিরপুরে অনেকবার যাওয়া হয়েছে।
বেশিরভাগই এই চকলেট কোল্ড কফি এবং নাগা উইংস ট্রাই করেছি। ঝালে ঠোঁট মুখ দিয়ে যখন ঝাঝ বের হয় তখন একেকজনের চেহারা দেখার মতো হয়। 😅
ঝাল খাই তবে এতো না , নাগা উইংস এর ঝাল সহ্য করার ক্ষমতা নেই তাইবরাবর ব্যারেল উইংসকেই আমি বেছে নেই !
এদের কফি আসলেই শান্তির , আপনার মূল্যবান কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ ...
বেশ ভালো বলেছেন, আমিও আপনার কথার সাথে একমত। খাবারের জন্য ঢাকাই হয়তো সেরা। এই জন্যই ঢাকা কে ছেড়ে যেতে খুব বেশি মায়া লাগে। মনে হয় গ্রামে গেলেই হুটহাট কোন কিছু অর্ডার করে খাওয়া যাবে না। অথবা চাইলেও কম সময়ের মধ্যে কোন রেস্টুরেন্টে ভালো খাবার পাওয়া যাবে না।
ঢাকার মানুষদের খারাপ থাকলেই সব থেকে আনন্দের জায়গা হল রেস্টুরেন্ট। নিজের পছন্দের এবং স্বাদমতো খাবারটা পেলেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায়।
খানাস এ আমার যাওয়া হয়েছে কয়েকবার। তাদের খাবারগুলো অনেক বেশি ফ্রেশ এবং সুস্বাদু থাকে। আর আপনার ছবিতেও খাবার গুলো বেশ লোভনীয় হয়ে উঠেছে।
নানান সমস্যার মাঝে এই যে খাদ্য সংক্রান্ত যে সুখ ঢাকায় রয়েছে সেটা আসলেই অনেক বেশী সুখের ...
আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ !
Hi @mariumsehri, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
বাংলাদেশে ভোজনরসিক হইলে, আর ঢাকার কালচারে কিছুটা অভ্যস্ত হইয়া গেলে, ঢাকার বাইরে গিয়া শান্তি পাবার সুযোগ নাই।
আসলেই , ঢাকায় খাদ্যজনিত শান্তির জন্য অন্য জেলায় ভালো লাগেনা !
একজন ফুড লাভার গোত্রের প্রাণি হিসেবে ছোটো শহরে থেকে খাদ্যজনিত একঘেয়েমিতে ভুগতে ভুগতে সোশাল মিডিয়ায় মানুষের হরেক রকমের ফুড-এক্সপ্লোরিং জার্নি দেখাটা বেশ কষ্টের। 😓