
Image Source
বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাদের গর্ব। আমাদের প্রাণের মাঝে মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
এমনিতেই আমরা বাঙালি জাতি আবেগপ্রবণ, আবেগের আরেকটি জায়গার নাম হচ্ছে ক্রিকেট। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম আমাদেরকে দিয়েছে অনেক কিছু যেমন অনেক আনন্দ অনেক হাসি অনেক কান্না।
সবকিছু মিলেই আমাদের ভিতর এমন ভাবে মিশে আছে যে প্রত্যেকটি ঘরে যেন একটি আনন্দ উৎসব হয়ে ওঠে যখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল কোন একটি খেলা জিতে। কোটি চোখের স্বপ্ন ঘিরে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো এমন একটি বিষয় যা বলতে গেলে নিজের কষ্ট হচ্ছে কিন্তু না বলেও থাকতে পারছি না।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগদানের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ তিতিক্ষা অনেক কষ্ট অনেক অসাধারণ কোন মহিমা এবং অনেক যোগ্যতা নিয়ে অবশেষে এক একটি ছেলে এখানে জায়গা পায়। তারমানে এ পর্যন্ত পৌঁছাতে হলে তাকে অগ্নিপরীক্ষা হিসেবেই বলা যেতে পারে।
সর্বোপরি ব্যাপার আল্লাহর অশেষ রহমত এখানে থাকতে হবে। বিশ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র চব্বিশটি ছেলে দলে জায়গা করে নেয়। তারমানে তারা দেশের রত্ন কিংবা খনি বললেও চলে।
যেকোনো দেশের খনি হচ্ছে তাদের দেশের অমূল্য সম্পদ, তেমনি আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের যেসব ছেলেরা খেলে তারাও দেশের জন্য অমুল্য সম্পদ।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফররত অবস্থায় যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো এর জন্য কাকে দায়ভার দেবেন আপনি?
তাদের সাথে যেটা হল এর জন্য দায়ী কে? তারা তো দেশের হয়ে খেলতে গিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন দিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোমিনিকা উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম রওনা দেয় এই পথের সমুদ্রের দূরত্ব ১৭৩ কিলোমিটার।
স্বাভাবিকভাবেই তারা রওনা দিয়েছিল। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে উত্তর সমুদ্রের মুখে চলে আসলে তখন প্রত্যেকটি ক্রিকেটারই তাদের প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এই সমুদ্র পথে যাত্রা।
ঘন্টাখানেক চলার পরে যখন আর একটু ভেতরের দিকে যায়, তখনি আসে তাদের জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। হয়তো বা কোন ক্রিকেটারের আগে এরকম দুর্ঘটনা মুখে কোনদিন পড়েনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারই অসুস্থ হয়ে পড়েছে সাগরের উত্তাল রূপে। তাদের প্রত্যেককেই গ্রাস করেছে।
কিন্তু এই ধরনের ঘটনাটি কেন ঘটলো, কি হল বিসিবি কি এ ব্যাপারে সচেতন ছিল না? বিসিবি কেন এভাবে তাদেরকে সমুদ্র পথে রওনা দেয়ার জন্য কেন রাজি হল? এই ধরনের দুর্ঘটনার যদি ঘটে যেত ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত হত।
আল্লাহর অশেষ রহমতে এই ধরনের কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি শেষ পর্যন্ত অনেক কিছু পার হয়ে তারা সহি সালামতে পৌঁছিয়েছে। বাংলাদেশের কোটি মানুষের দোয়া আছে বিধায় কোনরূপ কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি কিন্তু এখানে অনেক বড় প্রশ্ন রয়ে যায় কেন এই ধরনের ডিসিশন নিল বিসিবি?
তারা যেসব কারণ বলেছে, সেসব বেশ হাস্যকর শোনায়। কিন্তু আমরাতো আর নীতিনির্ধারক নই, তাদেরকে সরাসরি প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারি না। যা পারি সেটা হচ্ছে কিবোর্ডে আঙুল চালিয়ে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে।
এরপরে ক্রিকেটারকে কেমন করবে ম্যাচে সেটা বলা যাচ্ছে না, আর খারাপ করলেও বিসিবির তো একটা অজুহাত তৈরি হয়ে রয়েছেই।
তবুও আমরা আশা করবো, দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়ে যেন তারা জয় ছিনিয়ে আনতে পারে টি২০ এবং ওডিআইতে।
ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিওতে এ বিষয়টি দেখেছি এবং এটা আমার খুবই খারাপ লেগেছে। শুধু চিন্তা করছি যদি যাত্রাপথের কোন খারাপ কিছু হয়ে যেত তাহলে সেখানে লাইফ সাপোর্ট দেয়ার মতো কিছু কি ছিল ? আমার ধারণা ছিল না। হয়তোবা অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। বিসিবির আসলেই এই ধরনের গাফিলতি করা মোটেও উচিত হয়নি।
যারা দায়িত্বে তারাই যদি না বোঝে আমরা আর কীইবা করতে পারি?
তারা যে শারীরিক ভাবে ফিট না এটাই তার প্রমান।
নেভীর প্রতিটি সেনা কে সারা বছর এমন ভাবেই চাকুরী করে যেতে হয়। কেউ জানে না বা দেখে না। তাদের নিয়ে কেউ পোস্ট দেয় না।