বাড়িতে বানানো কোল্ড কফি!

in BDCommunity2 years ago

হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে কফি বহুবার খাওয়া হয়েছে। এমনকি বাড়িতেও খেয়েছি। যদিওবা কফি আমার খুব একটা পছন্দের না। আর কোল্ড কফি তো অনেক দূরের কথা। সবসময় শুধু নামই শুনে এসেছি, কিন্তু কখনো টেস্ট করা হয় নি। ইউটিউব ঘাটাঘাটি করার সময় হুট করে কোল্ড কফি বানানোর রেসিপি চোখের সামনে পড়ল। খুব সহজই মনে হয়েছিল। তাই ভাবলাম, সব উপাদান যেহেতু বাসায় আছে, তাই একটু ট্রাই করে দেখা যাক।

যা ভাবা, তাই কাজ। সন্ধ্যার দিকে সবকিছু নিয়ে বসে গেলাম কোল্ড কফি বানানোর জন্য৷ ব্লান্ডার মেশিন, কফির দানা, তরল দুধ, পাউডার দুধ, আইস আর চিনি। সবকিছু যোগাড় করে একসাথে করে বসে গেলাম কোল্ড কফি বানানোর কাজে। যদিও প্রপথমবার তো, তাই কিছুটা কনফিইজড ছিলাম। এর আগে রসমালাই বানানোর চেষ্টা করার সময় পুরোটাই পন্ডশ্রম হয়ে গিয়েছিল। তাই ভাবছিলাম এবারও আহার তেমন কিছু হয় কিনা।

প্রথমে ব্লান্ডার মেশিনে হালকা পানি, তরল দুধ, পাউডার দুধ, কফির দানা, চিনি আর আইস রেখে ব্লান্ডার অন করে দিলাম। আধা মিনিটের মাঝেই সবকিছু মিক্সড হয়ে যাবার পর সেটাতে আইস এর টুকরো গুলো ছেড়ে ছিলাম। কোল্ড কফির টেস্ট এই আইসের টুকরোগুলো অনেক বাড়িয়ে দেয়। যেমনটা ফালুদাতে হয়।

আইস এর টুকরোগুলো দিয়ে আরো একবার ব্লান্ডার মেশিনটা চালু করে আধা মিনিটের মতো রাখলেই হল। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল কোল্ড কফি। এত অল্প সময়ে আর সহজ ভাবে তৈরি করা যায়, তা ভেবেই অবাক লাগছিল। তবে সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালই লাগছিল।

যায় হোক, রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর করেই পরিবেশন করে৷ একারনেই সুন্দর মনে হয়। কিন্তু বাড়িতে বানানোর কারণে এত একটা সুন্দর করে পরিবেশন করা সম্ভব হয় নি। অবশ্য সে দরকারও নেই। খেতে পারলেই হল। গ্লাসে করে নিয়ে সবাইকে দিলাম। আমাদের সবার জন্যই কোল্ড কফির ফার্স্ট এক্সপেরিয়েন্স এটা। ভেবেছিলাম এত একটা ভাল হবে না। কিন্তু প্রথম চুমুক দিয়ে আমি তো মুগ্ধ। প্রত্যাশার চেয়েও বেশ ভাল হয়েছে।

ইউটিউব থাকার এই এক সুবিধা। যখন যেমন ইচ্ছে, যে কোনো কিছু খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। তা না হলে জানতেই পারতাম না এই জিনিসটা এত সহজে বানানো যায়৷ আগেই বলেছি কফি জিনিসটা আমার খুব একটা পছন্দ না। কিন্তু কোল্ড কফিটা খেয়ে আমার খুব একটা খারাপ লাগে নি। বরং ভালই লেগেছে। এখন থেকে সুযোগ পেলে বাড়িতে বসেই এটা বানানো যাবে নিজের জন্য। কোনো পরিশ্রম নেই, কারো সাহায্যও লাগবে না।

শুধু খাবার না, যে কোনো ক্ষেত্রেই ইউটিউবের টিউটরিয়ালগুলো খুব কাজে আছে। তো সেটা রান্না হোক, কিংবা পড়াশোনা অথবা টেকনোলোজি। আসলে টেকনোলোজির সুবিধা যে আমরা কত ভাবে পাচ্ছি, তার ইয়াত্তা নেই। দিন যত যাচ্ছে টেকনোলোজি তত উন্নত হচ্ছে। আমাদের সুবিধাও ততো বাড়ছে৷ কিন্তু এভাবে আর কতদিন উপরে উঠবে? পতনের সুযোগ কী আছে?

যায় হোক, বাড়িতে কিছু কাজ চলতেছে। বাউন্ডারির৷ এটা নিয়ে কিছুটা দৌড়াদৌড়িতে আছি। এজন্য হাইভেও তেমন একটা সময় দিতে পারছি না। আশা করি খুব জলদি আবারও সময় দিতে পারব। অনেক কথা জমে আছে বুকের ভেতর। ধীরে ধীরে আবারও সেসব সকলের সাথে শেয়ার করব। সেই প্রত্যাশায় আপাতত বিদায়...

Sort:  

যায় হোক, রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর করেই পরিবেশন করে৷ একারনেই সুন্দর মনে হয়। কিন্তু বাড়িতে বানানোর কারণে এত একটা সুন্দর করে পরিবেশন করা সম্ভব হয় নি। অবশ্য সে দরকারও নেই। খেতে পারলেই হল।

সেটাই। বাসার খাবার দেখতে এত আহামরি সুন্দর না হলেও স্বাদ ও মানে কোন তুলনা নেই।

জ্বী... এজন্যই বাসায় মাঝে মাঝে নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করি। খারাপ লাগে না।

Hi @reza-shamim, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!


Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.

JOIN US ON