গভীর রাতে আমি একটি মিষ্টি স্বপ্নের মাঝখানে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই চমকে আমার স্বপ্নটা ভেঙে গিয়েছিল। কারণ একটি বিশ্রী শব্দ আমার ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিল। কট কট একটা শব্দ। মনে হচ্ছিল কেউ একটি শক্ত পেরেক এর উপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করছিল। কিন্তু চিন্তার বিষয় ছিল এই গভীর রাতে তিনটার দিকে কে হাতুড়ি মারছে? আমি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছিলাম এটা হয়তো আমার বাবা হতে পারে। আমি আমার বিছানার কাছ থেকে যখন জুতো জোড়া পায়ে দিয়ে যখন ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করি, ঠিক তখনই শব্দ বদলে গিয়েছিল। আমি আবারও আমার রুমে এসে বিছানার পাশে বসে ছিলাম।
বদলে যাওয়া শব্দ টা ঠিক ঘড়ির কাঁটার শব্দের মত টিক! টিক! টিক! করছিল। বিশেষ করে এটা আমার পুরনো হাতঘড়িটার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। কারণ এই ঘড়িটার নিয়মিত গতি সব সময় আমাকে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করতো। আমি সব কিছু এড়িয়ে আবারো ঘুমাতে শুরু করি।আমি আমার বিপদজনক বাম দিকে ঝুঁকে পড়ে ছিলাম। যখন টিকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি আমার কাছে ঠিক এখন একটি গুঞ্জন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে শুরু করেছিল। আপনার ঠিক মনে পড়বে, যখনই গ্রীস্মের মাঝামাঝি সময় চলে আসে তখন মৌচাকের থেকে আসার শব্দের মত এটি ছিল।
আমি এটা ভেবে কেঁপে উঠেছিলাম। কারণ মৌমাছির প্রতি আমার ভীষণ এলার্জি ছিল। এমন কি এটা সম্পর্কে চিন্তা করলে অথবা শুধুমাত্র সেই শব্দ শুনলেই আমার শরীর ফুলে উঠে। আমি এটা ভবেই চিৎকার করে উঠে ছিলাম। কারন আমি আর নিতে পারছিলাম না জেগে থেকে স্বপ্ন দেখা। আমি দরজা খুলেই আমার পাশের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে নক করেছিলাম। তারা ঘুমিয়ে ছিল কিন্তু তারপরেও আমি বারবার দরজায় নক করে যাচ্ছিলাম। কেউ একজন এসে দরজা খুলেছিল। তার মাথার কোঁকড়ানো বাদামী চুল গুলো মনে হচ্ছিল কোন পথে লেগেছিল। আমি তার শব্দহীন ঘড়ির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম।
তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি জানেন এখন কটা বাজে? আমি না করতেও তিনি আমার হাত ধরে আমার টাইমপিসের দিকে তাকিয়ে দেখল। তিনি আমাকে বললেন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারিনি যে এত দ্রুত এর সময় চলে গিয়ে গভীর রাত চলে আসবে। আমি এমন একটা মেশিন দিয়ে কাজ করছিলাম যা মানুষকে অনেক অনিদ্রা করতে পারে। আমার কাজটি প্রায় শেষ, আপনি কি এটা দেখতে চান? আমার এটা জানা ছিল না তার শেষ আবিষ্কারটি খারাপ গন্ধকে নির্মূল করার চেষ্টা করছিল। যিনি আমাকে বলেছিলেন এটা শুধুমাত্র পচা ডিম দ্বারা চালিত হয়।
তিনি আমাকে জোর করছিলেন তার আবিষ্কার দেখার জন্য। কিন্তু আমার ভেতরের সহ্য ক্ষমতা কম ছিল, তাই আমি এটা এড়িয়ে চলতে চেয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম আমার এখন ঘুমের প্রয়োজন। দয়া করে আপনি যদি মানুষকে বিরক্ত করা বন্ধ করেন তাহলে উপকার হত।
bujhlam na