ভালোবাসা কী ?
নিস্তব্ধ অন্ধকার রুম , কানে ইয়ারফোন আর তাতে ফুল ভলিউমে আতিফের গাওয়া যেকোনো গান , ফোনের হোম স্ক্রিনে থাকা আতিফের ছবিতে একপলক চোখ বুলিয়ে আস্তে করে চোখ বন্ধ করে গানটা ফীল করা .....এক কথায় আমার কাছে ভালোবাসা মানে আতিফ আসলাম।
আতিফ আসলামকে আমার অবসেশন এতোই বেশী যে এই মানুষটা বাদে অন্য কারো ছবি আমি আজ পর্যন্ত আমার সোশ্যাল মিডিয়ার কভারেও দেইনি । মন খারাপ থাকলে আতিফের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এ ঢুকে বসে থাকি । আতিফ এর গাওয়া গান শুনি আর অজান্তেই এক মানসিক শান্তি পাই । মন খারাপ নিমিষেই গায়েব হয়ে যায় ।
আমার কাছের বন্ধুদের সাথে যখনই কথা বলি তখনই ঘুরে ফিরে আমি আতিফ এর প্রসঙ্গেই যাই ।
আমার কথাগুলো হয় অনেকটা এমন -
" ভাই আতিফ live এ আসছিলো , ভাই আতিফের show আছে আজ, ভাই আজ ১০ সেকেন্ডের video ১০ মিনিট ধরে দেখছি, ভাই আমি পাকিস্তান যাবো ,ভাই জীবনে অনেক টাকা কামাবো তারপর পাকিস্তান যাবো নিজের টাকা দিয়া, ভাই আতিফের বাসার সামনে গিয়া দাড়ায় থাকবো একবার তো দেখা হবেই , ভাই আমার নিউজফিডটা শুধু আতিফ আর আতিফ। "
আতিফ আসলাম নামটা কারো মুখ থেকে শুনলেও আমি থমকে যাই , এক স্নিগ্ধতা খুজে পাই আমি এই মানুষটার মধ্যে।
বিশ্বের আনাচে-কানাচে রয়েছে তার অজস্র ফ্যান,তবে এই জনপ্রিয়তা এক দিনে বা এক রাতে হয়ে যায় নি।যার জন্য তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে,শুনতে হয়েছে অনেক মানুষ এর অনেক খারাপ কথা,পাকিস্তানি বলে হইতো একটু বেশিই কষ্ট করতে হয়েছে।
ওহ লামহে গানের জনপ্রিয়তার পরেই শুরু হয় তাকে নিয়ে জল্পনা- কল্পনা,এমনকি সুনিধী চৌহানের মতো শিল্পীও তাকে তৎকালীন সময়ে এক অনুষ্ঠানে আতিফকে ওভাররেটেড বলেছিল,অথচ পরবর্তীতে আতিফের সাথে স্টেজ শো করেছেন!
দুঃখের বিষয় এই যে বলিউডকে সে এত ভালো মানের গান দেওয়া সত্ত্বেও বলিউড তাকে পুরস্কার হিসেবে কোন এওয়ার্ড দেইনি! এই ব্যাপারটা খুবই,ফিল্মফেয়ার তো দূরে থাক স্টার স্ক্রিন,জি সিনে,আইফা,মির্চি মিউজিক এওয়ার্ডও পাইনি,তবে মনে করি এওয়ার্ড এর চেয়ে বড় কিছু সে পেয়েছে তা হলো তার ফ্যানের ভালোবাসা,জনপ্রিয়তা। আর এই ভালবাসা চিরজীবন থাকে।
আতিফ আমার লাইফে একটা চ্যাপ্টারের মত,একটা সময়ে আতিফ ছাড়া কিচ্ছু ভাল লাগতো না, সেই ফিলিংস এখনো আছে,যার কারণে,হিন্দি গানগুলোতে অনেক শিল্পী আসলেও,আমার ভালবাসা আটকে আছে আতিফে।
হাম কিস গালি জা র্যাহে হ্যায়,আদাত,ইয়াকিন সারাটাদিন আমার কানে বাজতো , এখনও বাজে । আমার উচ্ছাসের সঙ্গী আতিফ , শুধু তার গাওয়া গানগুলোই না , পুরো মানুষটাই আমার আনন্দের কারণ ।
সম্প্রতি তার অভিনয় করা sang-e-mah নামের পাকিস্তানি ড্রামা আসছে ।আমি এই ড্রামার প্রতি এপিসোড কম করে হলেও বিশবার করে দেখেছি !
কারো কাছে পাগলামী , কারো কাছে খেয়ালিপনা কিন্তু আমার কাছে আতিফ আসলাম হলো আমার অনুভূতি।যার ছবির এক ঝলকও আমার মন ভালো করে দেয় । আর মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় তার গাওয়া বাক্য "হাম কিস গালি যা রেহে হ্যাঁয় , আপনা কই ঠিকানা নেহি"
আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি , লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , নিরাপদ থাকবেন , আশা করছি ভালো থাকবেন৷
আতিফ আসলাম আমারও অনেক পছন্দের শিপ্লী।
তার গানগুলো বেশ জনপ্রিয়।
পাকিস্তানি এই শিল্পী বলিউডে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিল। পাকিস্তানি একজন শিল্পী ভারতের মধ্যে এতটা জনপ্রিয়তা পাওয়া স্বপ্নের মত। যা অন্য যে কোন শিল্পীর জন্য প্রায় অবাস্তব। তবে আতিফ আসলাম বলেই মনে হয় অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছে। তবে এটা মানতেই হবে আতিফ আসলামের কণ্ঠ অন্য যে কোন শিল্পীর থেকে হাজার গুনে উত্তম।
মাঝে মাঝে যখন আমার মন খারাপ থাকলে কোন খোলা জায়গায় বসে আতিফের গানগুলো শুনতে বেশ ভালো লাগে। অনেকটা হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত।
যদি আমাকে কখনো পাকিস্তানী কোন শিল্পীকে বেছে নিতে বলা হয়। তাহলে আমি আতিফ আসলামকেই চিহ্নিত কররো। এক কথায় সুপাস্টার সে...
ট্যালেন্টের সঠিক মূল্য সবসময় পাওয়া যায় না।কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে এমনটা হয়।তারা শুধু নিজেদের বেপারটা বুঝে।সঠিকটা বিচার করতে জানে না।যেটা নিজের , সেটা সেরা।অন্যের হলে সেটার দাম নেই।
একি আতিফ আসলাম,একিভাবে গাওয়া গান,কিন্তু যদি জাতীয়তা ভারতীয় হতো তাহলে হয়তো যে এওয়ার্ডগুলোর কথা বলেছেন সবগুলোই পেতো।
তারপরও যে মেধাবী,যে সেরা সে কোন না কোন ভাবে তার মূল্য পাবেই,যেমন আপনার মতো অগণিত ভক্তের মাধ্যমে আতিফ আসলাম পাচ্ছে।
আতিফ আসলাম আমারও খুব পছন্দের শিল্পী। এমনকি সে ভালো অভিনেতাও। পাকিস্তানি কিছু ড্রামাতে তিনি অভিনয় করছেন। যদিও এটা আমি আগে জানতাম না। তার গান যেমন সুন্দর, তার অভিনয়ও সুন্দর।